—ফাইল চিত্র।
কয়লা কাণ্ডে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তারা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিতে চলেছে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি। সেই চার্জশিটে রাজ্যের একাধিক পুলিশ কর্তা-সহ প্রায় ১২ জন প্রভাবশালীর নাম থাকার কথা বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
সিবিআইয়ের দাবি, কয়লা পাচার মামলায় এখনও পর্যন্ত সরাসরি তারা কাউকে গ্রেফতার করেনি। মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা আইনি রক্ষাকবচ নিয়ে রয়েছেন। আদালতের নির্দেশ লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে, কিন্তু গ্রেফতার করা যাবে না।
সিবিআই সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত লালাকে প্রায় ২০ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শুধু লালা নয়, কয়লা পাচার কাণ্ডে লালা ঘনিষ্ঠ বহু ব্যবসায়ী ও এক হিসেবরক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই হিসেবরক্ষক ও ব্যবসায়ীদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বহু বৈদ্যুতিন নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, ওই সব নথি যাচাই করে জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারে রাজ্য পুলিশের একাংশ ও প্রভাবশালীদের কাছে প্রায় হাজার কোটি টাকা পৌঁছেছে। শাসকদলের পলাতক নেতা বিনয় মিশ্র কয়লা পাচার চক্রের অন্যতম পান্ডা বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের আরও দাবি, লালা ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ী ও হিসেবরক্ষকের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, পুলিশের একাংশ ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগসাজস করে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কয়লা পাচার চক্র চালিয়েছেন লালা। তদন্তকারীদের দাবি, কয়লা পাচারে ইসিএল, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রেল দফতরের একাধিক কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, কয়লা পাচারের লভ্যাংশের টাকা পুলিশ ও প্রভাবশালীদের কাছে কীভাবে পৌঁছেছে, সেই বিষয়েও তদন্তে উঠে এসেছে। ফলে, চার্জশিটে লালা ও বিনয়-সহ একাধিক পুলিশ কর্তা এবং প্রভাবশালীদের নাম থাকতে পারে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।
তদন্তকারীদের কথায়, চার্জশিট তৈরি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। চার্জশিটের মাধ্যমে কয়লা পাচারের তদন্তের অগ্রগতি আদালতে জানানো হবে। সিবিআইয়ের আইনজীবীরা ওই চার্জশিট খতিয়ে দেখে খুব শীঘ্রই আদালতে জমা দিতে চলেছেন। লালা ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ী ও ওই হিসেবরক্ষকদের গোপন জবানবন্দিও ওই চার্জশিটের সঙ্গে পেশ করা হবে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।