সন্দেশখালির শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিতে আবার সিবিআই। শাহজাহান শেখের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনকে তলব করেছে তারা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে বুধবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকায় শাহজাহানদের বাড়ির সামনে যান সিবিআইয়ের একটি দল। সিরাজের বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। তালাবন্ধ বাড়ির বাইরে তাই নোটিস সেঁটে দিয়ে এসেছেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, ৩ মে, শুক্রবার তলব করা হয়েছে সিরাজকে।
শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিন পেশায় হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসক। এলাকায় তাঁর ক্লিনিকও ছিল। সন্দেশখালির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তিনি ‘ফেরার’। এর আগে সিরাজকে তলব করেছিল ইডি। তিনি সেই ডাকে সাড়া দেননি। তার পর ইডির তরফে লুকআউট নোটিস জারি করা হয় তাঁর নামে। এ বার সিরাজকে ডেকে পাঠাল সিবিআইও।
কিছু দিন আগে সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল সিবিআই। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর পর সেখানে সিবিআই ডেকে পাঠায় এনএসজিকে। ‘ক্যালিবার’ যন্ত্র নিয়ে তারা দিনভর সন্দেশখালিতে বোমার খোঁজে তল্লাশি চালায়। কয়েকটি বোমা নিষ্ক্রিয়ও করা হয়। সে দিনের উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে সিবিআইকে রিপোর্ট দিয়েছে এনএসজি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের আবহে বাংলার রাজনীতি নতুন করে আলোড়িত হয়েছে। ইডি এবং সিবিআইয়ের তরফে পৃথক ভাবে আদালতে দাবি করা হয়েছে, সন্দেশখালিতে যে জমিগুলি শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীরা দখল করেছিলেন, সেই টাকাতেই কেনা হয়েছে অস্ত্রশস্ত্র।
বেশ কিছু বিদেশি অস্ত্রও পাওয়া গিয়েছিল শাহজাহানের ডেরা থেকে। ফলে বেআইনি অস্ত্র কারবারের সঙ্গে শাহজাহানেরা যুক্ত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দেশখালিতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র এবং রসিদও পেয়েছে সিবিআই। কলকাতার দোকান থেকে শাহজাহানের নামে কেনা অস্ত্রের রসিদও ছিল তার মধ্যে। শাহজাহান বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। সন্দেশখালির ঘটনায় তাঁর আর এক ভাই আলমগিরও বর্তমানে জেলে। সিরাজকে খুঁজছেন তদন্তকারীরা।