শুভ্রা কুন্ডু।
রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুন্ডুর স্ত্রী শুভ্রাকে শুক্রবার গ্রেফতার করে সিবিআই। শনিবার তাঁকে আদালতে পেশ করে ২ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভুবনেশ্বর। সিবিআই সূত্রে খবর, শুভ্রাকে জেরা করে ওই সংস্থার প্রভাবশালী যোগের পাশাপাশি তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন কী ভাবে অদ্রিজা গোল্ড এন্ড ডায়মন্ড স্বর্ণ বিপনী চালু ছিল। এক জন ডিরেক্টর হিসাবে শুভ্রা কুন্ডুর ভূমিকাই বা কী ছিল? একই সঙ্গে রোজ ভ্যালি সংস্থার হোটেল কী ভাবে চালানো হচ্ছিল। অদ্রিজার ডিরেক্টর মিতা চৌধুরী ওই সংস্থার অংশীদার ও গৌতম কুন্ডুর জামাইবাবু শমীক বসুকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই। কুন্ডু পরিবারের ঘনিষ্ঠ জনদেরও ডাকা হতে পারে। আমানতকারীদের অর্থ এই সব সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিবিআই।
শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের পরেই শুভ্রাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে বলা হয়, শুভ্রা জিজ্ঞাসাবাদের অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। অনেক কিছুর জবাব দিতে পারেননি। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে আরও খবর পাওয়া যায়, ২০১৫ সালে গৌতম কুণ্ডু জেলে যাওয়ার পর রোজ ভ্যালির দেখভাল করতেন শুভ্রাই। সেখানেই ‘অদ্রিজা’ নামে একটি স্বর্ণবিপনি চলত। সেই ব্যবসার আড়ালেই কোটি কোটি টাকা শুভ্রা তছরুপ করেছেন বলে অভিযোগ। কেলেঙ্কারির এখানেই শেষ নয়, ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর এক কর্তার সঙ্গে নাম জড়ায় শুভ্রার। তিনি প্রভাব খাটিয়ে তদন্তকারী সংস্থার অধিকারিককে দিয়ে তদন্তের মুখ ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
গোয়েন্দাদের প্রাথমিক সন্দেহ, গ্রেফতার হওয়ার পরেও সংস্থা চালানোর জন্য নিয়মিত শুভ্রার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন গৌতম। গৌতমের নির্দেশেই বিপুল পরিমাণ টাকা শুভ্রা সরিয়ে ফেলেন। হতে পারে বিদেশেও পাচার করা হয়েছে সেই টাকা। রোজ ভ্যালির বিরুদ্ধে রয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: নারদে টাকা কে ডি-র, আবার সরব ম্যাথু
আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের হাতে এ বার গ্রেফতার রোজ ভ্যালি কর্তার স্ত্রী শুভ্রা কুন্ডু