বিনয় মিশ্র। ফাইল চিত্র।
কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের সঙ্গে ওই মামলায় ‘সন্দেহভাজন’ বেশ কিছু পুলিশ কর্মী যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের। যুব তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বিনয়ের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের দাবি, গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্যের প্রায় দেড়শো পুলিশ অফিসারের নাম জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। যে যে থানা এলাকা দিয়ে গরু ও কয়লা পাচারের কারবার চলত, সেই সব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ থানায় বদলির নামে বিনয় টাকা তুলতেন বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের। সিবিআইয়ের দাবি, পুরুলিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একাধিক থানার অফিসার ছিলেন বিনয়ের ‘ঘনিষ্ঠ’। অভিযোগ, কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে তলবি নোটিস করা হলেও, তাঁরা হাজির হননি। উল্টে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে জড়িত অফিসারদের সিবিআইয়ের অফিসে হাজিরা দিতে তাঁরা নিষেধও করছেন বলে সিবিআইয়ের সূত্র জানতে পারে।
বিনয় পালিয়ে যাওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে ওই অফিসারদের যোগাযোগের কিছু সূত্র তাঁদের হাতে এসেছে বলেও দাবি করছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে সিবিআইয়ের অনুমান, বিনয় ও কয়লা পাচার চক্রের অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা কোথাও একই সঙ্গে লুকিয়ে রয়েছেন। বিনয় ঘনিষ্ঠ ওই পুলিশ অফিসারদের এবং ডায়মন্ড হারবারে শাসক দলের এক পঞ্চায়েত স্তরের নেতার উপর নজরদারি চালানোর পরে এমনই দাবি তদন্তকারীদের। বিনয়ের সুপারিশেই অতি সাধারণ পঞ্চায়েত সমিতির স্তরের ওই নেতাকে রাজ্য সরকারের তরফে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, গরু পাচার কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই কয়েক জন আইপিএস অফিসার সহ প্রায় ১২ জন পুলিশ অফিসারকে তলব করেছে তারা। নোটিস পাওয়া সত্ত্বেও একজন ছাড়া কোনও অফিসারই তদন্তকারীদের মুখোমুখি হননি। দু’জন আইপিএস অফিসার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের আইনি বৈধতার প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টেও আবেদন করেছেন। আজ, সোমবার ওই মামলার শুনানি হতে পারে। সিবিআইয়ের দাবি, তলবি নোটিস পাওয়ার পরে পুলিশ অফিসারেরা হাজির না হলে ফের নোটিস জারি করা হবে। তার পরেও তাঁরা হাজির না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে।