ফাইল চিত্র।
আবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করল সিবিআই। আগামী ৭ এপ্রিল তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। আর ১০ এপ্রিল পার্থবাবুর নিজের কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমে ভোট।
বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা আইকোর-এর সঙ্গে পার্থবাবুর নাম জড়িয়েছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। সেই সূত্রে এর আগেও এক বার তাঁকে সাক্ষী হিসেবে নোটিস পাঠিয়ে ডাকা হয়েছিল বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। সংস্থার দাবি, সে বার পাল্টা ই-মেল পাঠিয়ে সময় চেয়ে নিয়েছিলেন পার্থবাবু। জানিয়েছিলেন, নির্বাচনী প্রচারে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন।
সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবারেই আবার তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ৭ এপ্রিল হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, গত বারে পার্থবাবুর ই-মেল পাওয়ার পরে কয়েকদিন অপেক্ষা করে ফের তাঁকে নোটিস জারি করে তলব করা হয়েছে। তদন্তকারীদের কথায়, দ্বিতীয় দফায় নোটিস পেয়েও তিনি যদি গরহাজির থাকেন, তা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে পার্থবাবু এ দিন বলেন, ‘‘এমন কোনও অন্যায় করিনি যে এ নিয়ে চিন্তিত হতে হবে। ১০ তারিখে আমার ভোট। এখন প্রচারে ব্যস্ত আছি। নোটিস না দেখে কিছু বলতে পারব না।’’
সারদা, রোজ ভ্যালির মতোই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা আইকোর নিয়ে তদন্তে নেমেছে সিবিআই ও ইডি। আইকোরের মালিক অনুকুল মাইতিকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। গত ডিসেম্বরে জেলেই মারা যান তিনি। তদন্তকারীদের অভিযোগ, ওই অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টদের বৈঠকে উপস্থিত থেকে সেখানে বিনিয়োগ করার জন্য সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করেছিলেন পার্থবাবু।
আজ, শনিবার থেকে রাজ্যে ভোট পর্ব শুরু হচ্ছে। তার ঠিক আগেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির এই ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি বিরোধী শিবির।