Recruitment Scam

কুন্তলের বিতর্কিত চিঠি নিয়ে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে সিবিআই তলব, শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ

কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৩ ১২:৫২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করাও শুরু হয়েছে। কুন্তলের চিঠি প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

জেলে বসেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত এবং বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। চিঠি পাঠানো হয়েছিল নিম্ন আদালতের বিচারকের কাছেও। বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল সাম্প্রতিক সময়ে আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক বার দাবি করেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের বড় নেতাদের নাম বলানোর জন্য তাঁকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কলকাতা পুলিশ এবং বিচারককে দেওয়া চিঠিতেও একই দাবি করেন কুন্তল। পাশাপাশিই, তাঁর অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা তাঁর উপর অত্যাচারও করেছেন। প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমেই হেস্টিংস থানায় অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল। বিতর্কিত এই চিঠির বিষয়ে তখন থেকে তদন্তকারীদের নজরদারির আওতায় ছিল জেল সুপারের ভূমিকা। নিয়ম মোতাবেক জেলবন্দি ব্যক্তি জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই লেখা চিঠি প্রকাশ্যে আনতে পারেন।

কুন্তলের চিঠির প্রসঙ্গ কলকাতা হাই কোর্টে উঠলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রয়োজনে সিবিআই বা ইডি অভিষেককে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হাও সেই পর্যবেক্ষণে সম্মতি দেন। এই চিঠি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি দেশের শীর্ষ আদালত। তার পর গত ২০ মে অভিষেককে কুন্তলের চিঠির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। একাংশের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে, চাপ দিয়ে কুন্তলকে দিয়ে ওই চিঠি লেখানো হয়েছে। তদন্তকারীদের উপর ‘চাপ’ সৃষ্টি করারও অভিযোগ ওঠে। চিঠি লেখার জন্য কেউ কি ‘চাপ’ দিয়েছিলেন? সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের জবাবে কোনও মন্তব্য করেননি কুন্তল। জেরায় অবশ্য এই প্রশ্নের উত্তর দেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। সিবিআই সূত্রে খবর, চিঠি লেখার জন্য তাঁকে কেউ ‘চাপ’ দেননি বলে জেরায় দাবি করেন কুন্তল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement