কামারহাটি পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত সূত্রে কামারহাটি পুরসভার ১৮ জন কর্মীকে তলব করল সিবিআই। জানা গিয়েছে, ৩১ জুলাই, ১, ২ ও ৩ অগস্ট ধাপে ধাপে ওই ১৮ জনকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যদিও তৃণমূল পরিচালিত কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার দাবি, সমন পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু তারপর আবার ফোন করে বলা হয়েছে, এখন হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সিবিআই সূত্রে অবশ্য এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত সূত্রে হুগলির ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশির সময়ে যে সব নথি উদ্ধার হয় তা থেকে পুর নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়টি জানা যায় বলে দাবি করে তদন্তকারী সংস্থা। তারপর কলকাতা হাইকোর্ট পৃথক ভাবে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
সেই তদন্তে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমেছে সিবিআই। মাস আড়াই আগে এক দিনে ১৮টি পুরসভায় অভিযান চলিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তারপর বিভিন্ন পুরসভার আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয় নিজাম প্যালেসে। শুক্রবার কৃষ্ণনগর পুরসভার আধিকারিকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এ বার ডাকা হল কামারহাটির ১৮ জনকে।
কামারহাটি তৃণমূল নেতা মদন মিত্রর বিধানসভা কেন্দ্র। এর আগে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযানের অভিযোগ তুলে পুরসভায় গিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। কামারহাটি পুরসভাতেই চাকরি করেন অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছিলেন মদন। ১৮ জন কর্মীকে তলব করা প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে মদন বলেন, ‘‘আমি জানতাম না ওঁদের ডাকা হয়েছে। ডাকা হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই যাবেন।’’