কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে তদন্তের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ মুখবন্ধ খামে জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আদালতে সিবিআইয়ের অভিযোগ, জমির রেকর্ড সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সহযোগিতা করছে না। তাদের বক্তব্য, জমি কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত ৯০০টি অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না করলে তদন্তে বিলম্ব হবে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্যকে তদন্তে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে। এই মামলার বিষয়ে রাজ্যের কাছে সিবিআই কিছু নথি চেয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে ওই সমস্ত নথি তুলে দিতে হবে।
১০ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। হাই কোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করেনি শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি মন্তব্য, “সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি। রাজ্যকে সহযোগিতা করতে হবে এটাই কাম্য।” অন্য দিকে, সন্দেশখালির কয়েকটি স্পর্শকাতর এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। একই সঙ্গে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, সন্দেশখালির রাস্তায় আলো বসাতে হবে। রাজ্যকে ১৫ দিনের মধ্যে ওই নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছিল আদালত। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে রাজ্য কিছু করেনি বলে অভিযোগ। আদালত জানায়, ওই নির্দেশ কার্যকর করা না-হলে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। অবিলম্বে ওই নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সন্দেশখালিতে নারী নিগ্রহের ঘটনায় ভয়ে অনেক মহিলা মুখ খুলতে রাজি হননি। অনেককে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। তদন্তকারী দলে মহিলা অফিসার রাখার আবেদন জানায় জনস্বার্থ মামলাকারীদের আইনজীবীরা। হাই কোর্ট জানায়, সিবিআই প্রয়োজন মনে করলে তদন্তকারী দলে মহিলা অফিসার রাখতে পারবে।
সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট সেই অনুমতি দিয়েছে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মামলায় যুক্ত হয়ে হলফনামা দিতে পারবে। আগামী ১৩ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।