সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় (বাঁ দিকে)। বৃহস্পতিবার সকালে। —নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল পরীক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে লেখেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তোমাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও জানাই আমার অভিনন্দন। তোমাদের আগামী দিনগুলি সাফল্যমন্ডিত হোক, এই প্রার্থনা করি।”
বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চান মাধ্যমিকের প্রথম স্থানাধিকারী চন্দ্রচূড় সেন এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী সাম্যপ্রিয় গুরু।
গত কয়েকটি বছরের মতো এই বছরেও মেধাতালিকায় দাপট বজায় রাখল জেলাগুলি। মেধাতালিকায় কলকাতার মাত্র এক জন পড়ুয়া স্থান পেয়েছেন।
মাধ্যমিকে প্রথম স্থানে রয়েছে কোচবিহারের রামভোলা হাই স্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন। ৭০০ নম্বরের পরীক্ষায় সে পেয়েছে ৬৯৩। দ্বিতীয় স্থানে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্র সাম্যপ্রিয় গুরু। সে পেয়েছে ৬৯২। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিন জন। বালুরঘাট হাই স্কুলের উদয়ন প্রসাদ, বীরভূম নিউ ইন্টিগ্রেটেড হাই স্কুলের পুষ্পিতা বাঁশুরি এবং নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের নৈর্ঋতরঞ্জন পাল। তিন জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।
মাধ্যমিকে পাশের হারে শীর্ষে কালিম্পং জেলা। তার পরেই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা।
চলতি বছরে মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৩.৩১ শতাংশ। জানালেন পর্ষদের সভাপতি। গত বছরের তুলনায় বেড়েছে পাশের হার।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হারে ছেলেদের টেক্কা দিল মেয়েরা।
চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় নথিবদ্ধ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৩৬। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন পড়ুয়া।
মাধ্যমিকের ফলঘোষণা করতে সাংবাদিক বৈঠক করছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আগেই জানানো হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হবে। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ফল দেখতে পাবে পরীক্ষার্থীরা। সকাল ১০টা থেকে মার্কশিট এবং শংসাপত্রগুলি সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন বিভিন্ন স্কুলের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হল। চলতি বছরে মাধ্যমিক শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। নিয়ম হল, পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হবে। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ১২ মে। তার আগেই ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ বছর রাজ্যে ন’লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক দিয়েছিল। খাতা দেখা, নম্বর আপলোড প্রভৃতি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বদল এসেছে। গত বছর থেকেই মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কম্পিউটারভিত্তিক বেশ কিছু পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। এ বছরও সেই পথেই হেঁটেছে পর্ষদ। পরীক্ষা গ্রহণের পর থেকে ফলপ্রকাশের আগে পর্যন্ত যাবতীয় প্রক্রিয়ায় মানুষের চেয়ে যন্ত্রনির্ভরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম থাকবে বলেই আশা পর্ষদ কর্তৃপক্ষের।