বিনয়ের বাড়িতে সিবিআই।
ব্যবসায়ী তথা তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের আরও একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাল সিবিআই। তার পর তা সিল করে দেয় ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নামে এবং বেনামে কলকাতা এবং শহরতলি এলাকায় বিনয়ের বহু ফ্ল্যাট রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। রাসবিহারী, চেতলা, লেকডাউনের পর, সোমবার কৈখালির একটি ফ্ল্যাটেও পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তল্লাশির পর সিল করে দেওয়া হয় ওই ফ্ল্যাটটি।
বিনয়ের উত্থান চমকে দেওয়া মতোই। বাণিজ্য নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর গৃহশিক্ষকতা করতেন বিনয়। মেধাবি ছাত্রও ছিলেন তিনি। বিভিন্ন ‘চাটার্ড ফার্ম’-এর সঙ্গে তাঁর যোগযোগের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও তাঁর পরিচয় হতে শুরু করে। মার্বেলের কারবারও করেছেন তিনি। তার পর, চোখধাঁধানোর মতো সম্পত্তির মালিক হতে শুরু করে। ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত সাদামাটা জীবনেই অভ্যস্ত ছিলেন বিনয়। রাসবিহারীতে পেল্লায় বাড়ি, চেতলায় একটি আবাসনে ৩টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। লেকডাউনেও একটি বাড়ির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। আজ, কৈখালিতেও তাঁর আরও একটি ফ্ল্যাটের খোঁজ মেলে। গরুপাচারের ঘটনায় যাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁরা বিনয় মিশ্রের ডেরায় বৈঠক করত বলে জানা যাচ্ছে। ভুয়ো নামে কোম্পানি খুলে কোটি কোটি টাকা গায়েব করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। এক দিকে যেমন বিনয়ের ডেরায় তল্লাশি চলছে, তেমনই প্রভাবশালীদের বিষয়ে খোঁজ শুরু হয়েছে।
বিনয় এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলে জানা যাচ্ছে। কয়েক হাজার টাকার মালিক বিনয়ের উপার্জনের উৎস কী? তার সন্ধানেই নেমেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বিভিন্ন সূত্র মারফত গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গরু এবং কয়লা পাচার-কাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বিনয়ের। তা নিশ্চিত হতেই বিনয়কে জেরা করতে চায় সিবিআই। ইতিমধ্যে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। জারি হয়েছে লুকআউট নোটিসও।
এই দু’টি মামলায় এ বার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। তবে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ হাতে পাওয়ার পর, আরও কড়া পদক্ষেপ করতে পারে সিবিআই।
আরও পড়ুন: প্রতি ইঞ্চিতে জবাব পাবে, বলছেন ক্ষুব্ধ, ব্যথিত ও ঘরবন্দি শিশির অধিকারী