কেন্দ্রীয় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পোড়া বাড়িগুলির মাপজোক করল সিবিআই। মঙ্গলবার বগটুইয়ে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
বগটুই গণহত্যার তদন্তভার নেওয়ার সিবিআই এত দিন স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের সরাসরি কথা বলে তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করে এসেছে। এ বার স্বজনহারা এক নাবালক-সহ তিন জন প্রত্যক্ষদর্শীর গোপন জবানবন্দি রামপুরহাট আদালতে নথিভুক্ত করা হল। গোপন জবানবন্দি আদালতে নথিভুক্ত করানোর বিষয়টি যে কোনও তদন্ত প্রক্রিয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কাল, বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাই কোর্টে প্রাথমিক তদন্ত-রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা সিবিআইয়ের।
মঙ্গলবার সকালে স্বজনহারা তিন জনকে প্রথমে কুমাড্ডা গ্রামে তাঁদের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রামপুরহাটে, সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে আনা হয়। সেখান থেকে তাঁদের আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল। দুপুর সাড়ে তিনটের পরে তাঁরা আদালত ছাড়েন।
পুলিশ ও দমকলের একাধিক আধিকারিক ও কর্মীদেরও তলব করেছে সিবিআই তদন্তকারী দল। মঙ্গলবারও রামপুরহাট থানার তিন জন পুলিশ আধিকারিককে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে তলব করা হয়। গণহত্যায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ধৃত ১৮ জনকেও জেরা করা হয়েছে ওই শিবিরে।
প্রথম থেকেই স্বজনহারা এবং গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযোগ করেছেন, ২১ মার্চ রাতে আনারুলের নির্দেশে সোনা শেখ-সহ অন্তত ১০টি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল। যে হামলা প্রাণ হারাণ ৯ জন। তবে যাঁর খুন ঘিরে গণহত্যা বগটুইয়ে, তৃণমূলের সেই নিহত উপপ্রধানএ ভাদু শেখের ডান হাত এবং গণহত্যায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখের হদিস এখনও পাওয়া যায়নি।
অন্য দিকে এ দিনও রামপুরহাট আদালতে গণহত্যা-কাণ্ডে ধৃত এক জন নাবালককে সিউড়ির জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হয়। এই নিয়ে ধৃত দু’জন নাবালককে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হল। তাদের মধ্যে এক জনকে এ দিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সিউড়িতে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে পেশ করা হয়। বছর সতেরোর ওই নিজেদের হেফাজতে চায়নি সিবিআই। বিচারক তাকে ৭ দিনের জন্য হোমে পাঠিয়েছেন।
এ দিন সিবিআই তদন্তকারী দলের সঙ্গে সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের ইঞ্জিনিয়ারেরা বগটুই গ্রামে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলি পর্যবেক্ষণ করেন।