দু’জনের বাড়িতেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্তেই এই অভিযান বলে সিবিআই সূত্রে খবর। নিজস্ব চিত্র।
এ বার কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের দু’টি বাসস্থানে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পাশাপাশি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত বেহালার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থ সরকার ওরফে ‘ভজা’র বাড়িতেও তল্লাশি চালাতে শুরু করেছে সিবিআই। দু’জনের বাড়িতেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্তেই এই অভিযান বলে সিবিআই সূত্রে খবর। একই সঙ্গে বেহালার ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতেও সিবিআই আধিকারিকেরা অভিযান চালাচ্ছেন বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। সিবিআই সূত্রে খবর, ব্যারাকপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দীপ দাসের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। তল্লাশি চলছে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটেও।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার সকালে একযোগে শহরের চার জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ‘কালীঘাটের কাকু’, ‘ভজা’ এবং ব্যবসায়ী সন্তু ছাড়াও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্যের বাড়িতেও হাজির হয়েছে সিবিআই।
‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল। সুজয়কৃষ্ণকে আগেও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল। পরে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্কের নথিও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেই সব নথি তিনি সিবিআইকে জমা দিয়েছেন বলেও সুজয়কৃষ্ণ দাবি করেছিলেন।
কালীঘাটের কাকুর এই বাড়িতেই তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র।
ইডির হাতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুজয়কৃষ্ণের লেনদেনের একটি সূত্র তদন্তের সময় উঠে আসে। সেই লেনদেনের কথা তিনি নিজেও স্বীকার করে নিয়েছিলেন। সুজয়কৃষ্ণ জানিয়েছিলেন, শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থাতে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। ব্যবসা করার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি জমি তিনি শান্তনুর থেকে কিনেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। টাকা দিয়েছিলেন চেকের মাধ্যমে।
অন্য দিকে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ (চট্টোপাধ্যায়)-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থ (সরকার) ওরফে ‘ভজা’র নামও বারবার উঠে এসেছে তদন্ত চলাকালীন। লোকনাথ আবাসনে তাঁর একটি ফ্ল্যাটেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। অতীতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন এলাকার বেহালার বিজেপি এবং সিপিএম নেতৃত্ব।