গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর সংক্রান্ত ধোঁয়াশা কাটাতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের অফিসে টানা চার দিন তল্লাশি অভিযানের পর এ বার সেখানকার কর্মচারী এবং কর্তাদের জেরা করা হল নিজ়াম প্যালেসে। ওই সংস্থার এক জন কর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, তল্লাশি অভিযান শেষে এস বসু রায় সংস্থা থেকে ৩৫টির বেশি হার্ডডিস্ক এবং দু’টি সার্ভার বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় সিবিআই। সেই সব হার্ডডিস্কে কী আছে, সার্ভারে আদৌ নষ্ট করা ওএমআরগুলি রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। সেই সূত্র ধরেই সংস্থার বেশ কয়েক জন কর্মচারীকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেই তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন কর্মীরাও। এমনকি, এক জন কর্তাকেও ডাকা হয়েছিল। সোমবার তাঁদের নিজ়াম প্যালেসে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ডডিস্ক থেকে যদি কোনও তথ্য বা ফাইল মুছে ফেলা হয়, তবে তা উদ্ধার করা সম্ভব। তবে সেই হার্ডডিস্কের উপর রিরাইট করা হলে মুছে ফেলা তথ্য উদ্ধার করতে সমস্যা হয়। এস বসু রায় সংস্থা থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিস্কগুলিতে কী রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। এর আগে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই সংস্থারই এক জন কর্মী এবং এক জন কর্তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই সিবিআইকে একটি বিশেষ নির্দেশে কলকাতা হাই কোর্ট বলেছিল, ২০১৪ সালের টেটের ওএমআরশিটের তথ্য উদ্ধার করতে প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিতে পারে সিবিআই। নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, সিবিআই যদি ওএমআর তথ্য উদ্ধারে অসমর্থ হয়, তবে তারা দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির সংস্থাগুলির থেকেও সাহায্য নিতে পারে। সেই নির্দেশের পর গত মঙ্গলবার তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সিবিআইয়ের অধীনস্থ নয় এমন দুই সাইবার বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে হাজির হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি। তার পর থেকে ওই সংস্থার দফতরে চার দিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই।