সুদীপ্ত রায়। —ফাইল চিত্র।
ফের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে সিবিআই। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা সুদীপ্তের সিঁথির বাড়িতে যান। বাড়ি লাগোয়া নার্সিংহোমেও হানা দেন তাঁরা। এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত সুদীপ্তের বাড়িতেই রয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
গত ১২ সেপ্টেম্বর আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি মামলার তদন্তে সুদীপ্তের বাড়ি এবং নার্সিংহোমে হানা দিয়েছিল সিবিআই। ওই দিন প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলে। রবিবার দ্বিতীয় বারের জন্য শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়কের বিটি রোডের ঠিকানায় হানা দিলেন। গত মঙ্গলবার সুদীপ্তের বাড়িতে হানা দিয়েছিল আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ওই দিন তল্লাশি চালানো হয় সুদীপ্তের বাড়ি লাগোয়া নার্সিংহোম এবং হুগলির দাঁড়পুর গ্রামের বাংলোতেও। গত বৃহস্পতিবার ইডির তলবে সাড়া দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত। বিধায়কের কন্যা জানিয়েছিলেন, আগের দিনের তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত হওয়া তিনটি ফোন খোলার জন্যই সুদীপ্তকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে আগেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তার পর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতশকাচের তলায় ছিলেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা শাসকদলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত। তিনি রাজ্যের হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য। একই সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যানও বটে।
সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন যে, আরজি কর হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নিজের নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছেন সুদীপ্ত। এই প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, “১৯৮৪ সালে আমি নার্সিংহোম তৈরি করি। বাম আমলে তিলে তিলে এটাকে দাঁড় করিয়েছি। যে কেউ আমার নার্সিংহোমে গিয়ে যাচাই করতে পারেন, আমি এমন কিছু কাজ করেছি কি না।”
গত বৃহস্পতিবার সিজিওতে ঢোকার আগে সুদীপ্ত বলেন, “আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতে আমার বাড়িতে ইডি গিয়েছিল। আমার সঙ্গে দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমায় ইডি ডেকেছিল। তাই এসেছি।”