ফাইল চিত্র
রাজ্যে ভোট-পরবর্তী অশান্তির ঘটনার তদন্তে শনিবারও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হাজির হল সিবিআইয়ের একাধিক দল। সূত্রের খবর, এ দিন মূলত কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, বীরভূমের শান্তিনিকেতন, মল্লারপুর এবং ইলামবাজার, বাঁকুড়ার ইন্দাস এবং কোতুলপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তিতে তদন্তকারীরা গিয়েছিলেন। ইলামবাজারের ঘটনায় অভিযুক্তদের না পেয়ে তাঁদের বাড়িতেই তলবের নোটিস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ তৃণমূল কর্মী শাহানুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তুফানগঞ্জের চিলাখানা গ্রামে পৌঁছয় সিবিআইয়ের দল। সেখানে দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি শাহানুরের পরিজন এবং সে দিনের ঘটনায় জখম আর এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী প্রসেনজিৎ সাহাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযুক্তদের বাড়ির কাছে গিয়েও তদন্ত করে তারা। এ দিন নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া কাউকেই সিবিআই অফিসারদের কাছেপিঠে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি।
বীরভূমের শান্তিনিকেতনের উত্তর নারায়ণপুর এলাকায় এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে এ দিন সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল শান্তিনিকেতন থানায় গিয়েছিল। তদন্ত প্রক্রিয়া কত দূর এগিয়েছে তা নিয়ে শান্তিনিকেতন থানার এক জন এসআই ও এক জন এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। অন্য দিকে, ইলামবাজারের গোপালনগর গ্রামে বিজেপি কর্মী গৌরব
সরকারকে পিটিয়ে খুনের তদন্তে এসে গ্রেফতার হওয়া ছয় অভিযুক্তের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের আর একটি দল। জামিনে মুক্ত ওই অভিযুক্তেরা কেউই বাড়িতে না থাকায় তাঁদের বাড়িতে নোটিস দিয়ে আসেন সিবিআইয়ের অফিসারেরা। মল্লারপুরে কোট গ্রামে বিজেপি কর্মী জাকির হোসেনকে খুনের তদন্তে গিয়ে পুলিশের অফিসারদের ডেকে কথা বলেছে সিবিআই।
ভোট পরবর্তী হিংসার বলি উস্তির বলরামপুরের বাসিন্দা সৌরভ বরের বাড়িতেও গিয়েছিল সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। ঘণ্টা দু’য়েক সৌরভের পরিরারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। কয়েক
দিন আগেও সৌরভের বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। স্থানীয় সূত্রের খবর, ৩ মে পড়শি জনা ছয়েক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় সৌরভের বাড়িতে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন সৌরভ। নিহতের মা নীলিমা বর বলেন, “মূল অভিযুক্ত-সহ দু’জনকে এখনও ধরেনি পুলিশ। সে কথাও সিবিআইকে জানিয়েছি।”
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ইন্দাসের নাড়রা গ্রামে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। সেখানে ‘নিহত’ বিজেপি কর্মী অরূপ রুইদাসের বন্ধু সুমন দাস, তাঁর বাবা-মা এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে তারা। সিবিআইয়ের আর একটি দল কোতুলপুরের রায়বাঘিনি গ্রামে গিয়ে কুশ ক্ষেত্রপালের পরিবারের সদস্য এবং কিছু প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেছে।