Anubrata Mandal

Anubrata Mandal: অনুব্রত-রিপোর্টে অসন্তুষ্ট সিবিআই, এমসের চিকিৎসকদের দিয়ে পরীক্ষার ভাবনা

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য অন্ডাল বিমানবন্দরে বলেন, “সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি যে পথ বার করেছেন, তাতে তিনি বেশি দিন বাঁচতে পারবেন না।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২২ ০৬:২৫
Share:

ফাইল চিত্র।

অনুব্রত মণ্ডল কেমন আছেন, তা জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবারই এসএসকেএম হাসপাতালকে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। তার উত্তরে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাটির কাছে পাঠানো হল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট। কিন্তু সূত্রের খবর, হাসপাতালের তরফে পাঠানো সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের দাবি, সেই কারণে শারীরিক অবস্থার আরও বিশদ রিপোর্ট চায় তারা। সেই জন্য শুক্রবার আসানসোল আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। সিবিআই সূত্রের খবর, আদালত জানিয়েছে, সরাসরি হাসপাতালের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইতে। হাসপাতাল তাতে রাজি না হলে, একমাত্র তখনই হস্তক্ষেপ করবে আদালত।

গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে অনুব্রতের সঙ্গে কথা বলতে চায় সিবিআই। কিন্তু, বীরভূম থেকে কলকাতায় এলেও তিনি এখনও তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হননি। বরং ‘অসুস্থ বোধ করায়’ বৃহস্পতিবার ভর্তি হয়েছেন উডবার্ন ওয়ার্ডে। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের মতে, প্রয়োজনে এমসের (কল্যাণী) চিকিৎসকদের দিয়ে অনুব্রতকে পরীক্ষা করানোর আবেদন করা হতে পারে আদালতে।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, হাসপাতালের তরফে প্রাথমিক চিকিৎসার ভিত্তিতে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, সেখানে হৃদযন্ত্র ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার উল্লেখ রয়েছে। ওই রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনাও হচ্ছে। তদন্তকারীদের একাংশের বক্তব্য, বয়সজনিত ও অন্যান্য কারণে পুরনো অসুখ থাকতেই পারে। কিন্তু তা কোন পর্যায়ে ও কতখানি গুরুতর, তা বিবেচনাধীন। সেই কারণেও এমসের চিকিৎসকদের কথা ভাবা।

সিবিআই সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়ি আসানসোল আদালতে এই মর্মে আবেদন করা হতে পারে। তদন্তকারীদের সূত্রে অভিযোগ, অনুব্রত রাজনৈতিক কার্যকলাপে সাবলীল। কিন্তু সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের প্রশ্ন উঠলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

Advertisement

সিবিআইয়ের আইনজীবীদের বক্তব্য, এসএসকেএম হাসপাতালের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। চাওয়া হতে পারে আগে যখন অনুব্রত এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তার রিপোর্টও।

সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে আচমকা রক্তচাপ ও সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় অনুব্রতের। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করেন। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা একসঙ্গে বৃদ্ধি পাওয়ায় সিটি স্ক্যান, এমআরআই ইত্যাদি করার পরিকল্পনা রয়েছে। রক্তে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের জন্যও ওষুধ দেওয়া হয়েছে।

রয়েছে দীর্ঘদিনের ঘুমের সমস্যাও (স্লিপ অ্যাপনিয়া)। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়। ঘুমের সময়ে অনুব্রতের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কতটা থাকছে, তা জানতে এ বার অনুব্রতের স্লিপ-স্টাডি করার পরিকল্পনা রয়েছে চিকিৎসকদের। সূত্রের খবর, পুরনো সিওপিডি-র সমস্যা থাকায় এখনও মাঝেমধ্যে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে তাঁকে। বুক ধড়ফড় কিছুটা রয়েছে। অনিদ্রা কাটাতে দেওয়া হচ্ছে হালকা ডোজ়ের ঘুমের ওষুধও।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য অন্ডাল বিমানবন্দরে বলেন, “সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি যে পথ বার করেছেন, তাতে তিনি বেশি দিন বাঁচতে পারবেন না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement