—প্রতীকী ছবি।
পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের ১৪টি পুরসভার আধিকারিক ও কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি শুরু করল সিবিআই।
তদন্তকারীদের দাবি, তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ ও উত্তর দমদম, বরাহনগর, পানিহাটি, কামারহাটি, হালিশহর পুরসভা। সিবিআই সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বরাহনগর পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যের ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালানোর সময়েই নথি সংগ্রহ এবং আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মূলত ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পুরসভাগুলিতে নিয়োগের পদ্ধতি ও নির্দেশিকার নথি যাচাই করা হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় ধৃত অয়ন শীলের একটি সংস্থার মাধ্যমে ওই ১৪টি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। তাদের দাবি, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে, যার সঙ্গে সরকারি আধিকারিক ও প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রী ও বিধায়ক জড়িত রয়েছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে পুরসভার কর্মী, আধিকারিক ও পরবর্তী পর্যায়ে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান-সহ অন্যান্য কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগেই বরাহনগর পুর কর্তৃপক্ষের কাছে নোটিস পাঠায় সিবিআই। সেখানে ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত যা নিয়োগ হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়। জানানো হয়, ২০ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩২ জন কর্মীকে হাজিরা দিতে হবে সিবিআই অফিসে। কোন কর্মী কবে হাজিরা দেবেন তাও ঠিক করে তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারেও চার জন হাজিরা দিতে যান। ওই ৩২ জন কর্মীর মধ্যে বেশিরভাগ মজদুর থাকলেও কিছু পুর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক, গাড়ির চালক, পুরকর্মীও রয়েছেন। ওই ৩২ জনই মালদা-মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, ২০১৭-এ অয়নের সংস্থা বরাহনগর পুরসভায় প্রথম নিয়োগের বরাত পায়। ২০১৮-২০১৯ নাগাদ নিয়োগের পরীক্ষা হয়। অভিযোগ, তাতে পুরসভার কাউন্সিলরদের একাংশের নিকটাত্মীয়দের চাকরি হয়েছে বিভিন্ন পদে। মজদুর পদে কাজে যোগ দিয়ে কেউ কেউ পুর-প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন বলেও অভিযোগ। তখন রাজ্য পুর কর্মচারী ফেডারেশনের এক প্রভাবশালী নেতা ও আশপাশের পুরসভার নেতাদের একাংশের নিকটাত্মীয়রাও চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও বাকিদের নিয়োগ হয় অয়নের সংস্থার হাত ধরে। ২০২০-র নভেম্বরে এই নিয়োগ হয়। যে কর্মীদের ডাকা হয়েছে তাঁরা কাকে কত টাকা, কার মাধ্যমে দিয়েছেন তা জানার চেষ্টা চলছে বলেই খবর।