ফাইল চিত্র।
পূর্ব বর্ধমানের রায়নার বাসুদেবপুরে এক বিজেপি সমর্থকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করে তদন্তে নামল সিবিআই। মামলা দায়েরের বিষয়টি বর্ধমান সিজেএম আদালতেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এফআইআর-এর নথি জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে।
গত বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরের ঘটনা। ৫ মে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুর পাড়ের নিমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল বাসুদেবপুরের দাসপাড়ার বাসিন্দা কার্তিক রুইদাসের দেহ। পরিবার সূত্রে খবর, ওই দিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন কার্তিক। তার পর ওই দিন বেলা ১টা নাগাদ গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ওই সময় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছিল। মানসিক অসুস্থতার কারণে কার্তিক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানায় পুলিশ। যদিও পুলিশের এই দাবি মানেনি মৃতের পরিবার। পরিবারের তরফে এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়।
পরে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয় হাই কোর্ট। এ বার ওই ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করল তদন্তকারী সংস্থা। মৃতের ছেলে প্রদীপ দাস তদন্তকারী আধিকারিকদের জানান, গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনই দুপুরে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের ‘দুষ্কৃতীরা’। বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। ভয়ে সে দিন রাতেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন প্রদীপ। তিনি জানান, পরের দু’দিনও তাঁদের বাড়িতে একই ভাবেই হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় তাঁর মা সংজ্ঞাও হারিয়েছিলেন। এর পরই ৫ মে কার্তিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
কার্তিকের মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের হওয়া নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি রায়না থানার পুলিশ।