—প্রতীকী চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুরসভাগুলির নিয়োগে অনিয়মের সন্ধান পেয়েছিল ইডি। সৌজন্যে অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথি। এ বার কি সেই অনিয়মের ছায়া মৎস্য দফতরেও? সিবিআই সূত্রে তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, গোপালচন্দ্র দাস নামের এক এজেন্টের বয়ান থেকে মৎস্য দফতরে নিয়োগে অনিয়মের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। এই গোপাল তাঁর বয়ানে সিবিআইকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ধৃত নীলাদ্রি ঘোষকে তিনি চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে দিয়েছিলেন। তাঁদের কাউকে কাউকে এসএসসি গ্রুপ সি-তে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে অনেককে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল মৎস্য দফতরে।
জানা গিয়েছে, মৎস্য দফতরে যাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল তাঁরা ১০ মাস চাকরি করেছেন। বেতন পেয়েছেন। তার পর তাঁদের চাকরি চলেও গিয়েছে। মোট ৩৭ জনের থেকে গোপাল টাকা তুলেছিলেন বলে তিনি সিবিআইকে জানিয়েছেন। যে অঙ্কটা কমবেশি এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপাল তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, নীলাদ্রির সঙ্গে তাঁর পরিচয় তাপস মণ্ডলের সূত্রে। তাপসের অফিসেই পরিচয় হয়েছিল তাঁদের। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি আদালতে বলেছে, তাপস এবং কুন্তল ঘোষের মধ্যে সেতুবন্ধন করতেন এই নীলাদ্রি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপাল তাঁর বয়ানে দাবি করেছেন, এসএসসির গ্রুপ সি-এর মতো মৎস্য দফতরের নিয়োগও ছিল ভুয়ো। এমনও ঘটনার উল্লেখ রয়েছে বয়ানে, বলা হয়েছিল এসএসসি-তে নিয়োগ করা হবে। তার পর বলা হয়, এসএসসিতে এখন ফাঁকা নেই, মৎস্য দফতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন চাকরির জন্য, তাঁদের অনেকেই তাতে রাজি হয়ে সেখানে ঢুকে যান।
এই বয়ানের উপর ভিত্তি করে সিবিআইয়ের নজরে এখন মৎস্য দফতরের কর্তারাও। পুর নিয়োগের দুর্নীতি সন্ধানে পৃথক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। মৎস্য দফতরের ক্ষেত্রেও তেমন কিছু হবে কি না তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।