নারদ মামলায় প্রাথমিক তদন্ত শেষ। এ বার অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সিবিআই। সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, সোমবারই হাইকোর্টে এ ব্যাপারে আবেদন জানানো হতে পারে।
হাইকোর্টের নির্দেশেই নারদ কাণ্ড নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করছে সিবিআই। আদালত বলেছিল, প্রাথমিক তদন্তের পরে সিবিআই মনে করলে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত বা ‘রেগুলার কেস’ করতে পারে। সংস্থা সূত্রের খবর, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার ব্যাপারে দিল্লিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়ে রেগুলার কেস শুরু করার অনুমতি চাওয়া হবে। সেই সঙ্গেই চাওয়া হতে পারে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার অনুমতি। সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, ‘‘হাইকোর্ট আবেদন মঞ্জুর করলে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য আলাদা দল তৈরি করা হবে। দিল্লির অফিসারদের নিয়ে ওই দল গড়ার সম্ভাবনা বেশি।’’
আরও পড়ুন: হেফাজতে নিয়েই কি নারদ তদন্ত
হেফাজতে রেখে জেরা করার কথা কেন ভাবছে সিবিআই? সংস্থার এক কর্তার মতে, নারদ-কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ যে খাঁটি, তা ফরেন্সিক পরীক্ষায় প্রমাণিত। অভিযুক্তদের কাউকে কাউকে ভিডিও ফুটেজে সরাসরি টাকা নিতে দেখা না গেলেও অডিও ফুটেজে টাকা লেনদেনের কথা রয়েছে। এই অবস্থায় প্রতিটি বাক্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেগুলি নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। যে হেতু একাধিক প্রভাবশালী জড়িত, তাই পর্যায়ক্রমে তাঁদের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করা হচ্ছে।
সিবিআই গোয়েন্দাদের আরও দাবি, ফুটেজে যে সব নেতা-মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের বাইরেও আরও কেউ কেউ এই বেআইনি লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত। অডিও ফুটেজে এমন অনেকের গলা শোনা গিয়েছে, যাঁদের ছবি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়নি। এ নিয়ে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই প্রাথমিক তদন্তের যে রিপোর্ট সোমবার হাইকোর্টে পেশ করতে চলেছে সিবিআই, তার প্রতিটি পর্যবেক্ষণের তলায় ‘আরও বিস্তারিত তদন্ত প্রয়োজন’ বলে লেখা থাকছে।