সজাগ পাহারায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফাইল চিত্র ।
এসএসসি ভবন ‘আচার্য সদন’-এর সার্ভার রুম-সহ একাধিক ঘরে তালা ঝোলাল সিবিআই। এই ঘরগুলির ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এর ফলে এসএসসি-র বিভিন্ন প্রক্রিয়ার গতি একটু হলেও মন্থর হবে বলে মনে করছেন কর্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসএসসি-র এক উচ্চপদস্থ কর্তার দাবি, ‘‘এই ঘরগুলি বন্ধ করার ফলে এসএসসি-র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। এই ঘরগুলিতে একাধিক কম্পিউটার রয়েছে। এবং এই কম্পিউটারগুলিতে বেশ কিছু তথ্য আছে, যা তথ্য জানার অধিকার আইনে মামলা এবং এসএসসি মামলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্তা জানিয়েছেন, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর যে তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে, তা ওই কম্পিউটারগুলিতেই আছে। কিন্তু সিবিআই এই ঘরগুলি বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এই তথ্য পেতে অসুবিধে হচ্ছে।
তবে শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে হওয়ায়, সেই কাজে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি বলেও এই কর্তা জানিয়েছেন। তবে কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রয়োজন হলে, আদালত বিশেষ নির্দেশ দেবে বলেও তিনি মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অনেক তথ্য নষ্ট হতে পারে বলে মামলাকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করার পর গত ১৮ মে, বুধবার রাতে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ১৯ মে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে এসএসসি-র সচিবকে সিসিটিভি ফুটেজ জমা দিতে হবে আদালতে। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরের দিন দুপুর ১টা পর্যন্ত এসএসসি অফিস ঘেরাও করে থাকবে বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি ভবনে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয়, একমাত্র সিবিআই আধিকারিকরা সেখানে যেতে পারেন।
তবে বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশে কিছু বদল আসে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নতুন নির্দেশে জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের উপদেষ্টাও এসএসসির প্রধান কার্যালয় আচার্য সদনে ঢুকতে পারবেন। তার পর বলা হয়, আচার্য সদনে ঢুকতে পারবেন কমিশনের চেয়ারম্যান, স্টেনো, সেক্রেটারি, অ্যাসিটেন্ট সেক্রেটারি এবং চেয়ারম্যান উপদেষ্টা। এ ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।