Shankar Adhya

শঙ্করের বাড়ির সামনের ফুটেজ চায় সিবিআই, দিতে না পেরে কী যুক্তি বনগাঁ পুরসভার প্রধানের?

গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বাধা পায় ইডি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪ ১৫:৩৬
Share:

শঙ্কর আঢ্যের বাড়ির সামনে সিবিআই আধিকারিকেরা। —নিজস্ব চিত্র।

শঙ্কর আঢ্যের বাড়ির সামনে কী হয়েছিল, জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চায় সিবিআই। সোমবার তারা বনগাঁয় গিয়েছে। সেখানকার পুরপ্রধান গোপাল শেঠের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। শঙ্করের বাড়িতেও সিসি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। সিবিআই আধিকারিকেরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে শঙ্করের স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যের কাছে সেই ফুটেজ চেয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে দুই বাড়িতেই দেওয়া হয়েছে নোটিস। ফুটেজ দেখতে চেয়ে বনগাঁ থানায়ও গিয়েছে সিবিআই।

Advertisement

পুরপ্রধান গোপাল অবশ্য জানিয়েছেন, নিজের বাড়ির ক্যামেরার ফুটেজ তিনি দেখাতে পারবেন না। কারণ, ২৫ দিন পর্যন্ত ফুটেজ সংরক্ষিত থাকে। তার পর আর তা রাখা হয় না। গোপাল বলেন, ‘‘ওঁরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাইতে এসেছেন। আমার কাছে থাকলে কেন দেখাব না? ২৫ দিনের বেশি তো ওগুলো রাখা যায় না।’’

গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বাধা পায় ইডি। তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান শঙ্করের অনুগামীরা। ইডির গাড়িতে ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, ওই দিনই সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের বাড়িতেও তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু শাহজাহানের অনুগামীরা ইডিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ইডিকে মার খেয়ে ফিরতে হয়েছিল সে দিন। আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালি এবং বনগাঁর এই প্রায় সমান্তরাল ঘটনা দু’টির তদন্ত করছে সিবিআই।

Advertisement

তদন্তের স্বার্থে আগের দিন সিবিআইয়ের একটি দল সন্দেশখালিতে গিয়েছিল। সেখানে শাহজাহানের বাড়ি, অফিস, বাজারে তল্লাশি চালানো হয়। ডুগরিপাড়া গ্রামে শাহজাহানের দু’জন ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও সে দিন তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তাদের সঙ্গে ছিলেন দু’জন ইডি আধিকারিক এবং ফরেন্সিক দল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। বনগাঁতেও সেই উদ্দেশ্যেই সোমবার গিয়েছে সিবিআইয়ের দল। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং ফরেন্সিক আধিকারিকেরা। সকাল থেকে শঙ্করের বাড়ি এবং সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চলেছে। বনগাঁ পুরসভাতেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। রেশন মামলায় গ্রেফতার হয়ে শঙ্কর এখন জেল খাটছেন। তিনি ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি ইডির। তবে শঙ্কর নিজে বার বার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement