Shankar Adhya

শাহজাহানের পর এ বার বনগাঁয় শঙ্করের বাড়িতেও সিবিআই, সঙ্গে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী, ফরেন্সিক

গত ৫ জানুয়ারি শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সে দিনই রাতে শঙ্করকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলা হয়। শঙ্করকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বাধার সম্মুখীন হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা ও বনগাঁ শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৯
Share:

(বাঁ দিকে) বনগাঁয় সিবিআইয়ের দল। শঙ্কর আঢ্য (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

বনগাঁয় শঙ্ক আঢ্যের বাড়ির এলাকায় গেল সিবিআই। বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী, ফরেন্সিক দল নিয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা সোমবার সকালে বনগাঁয় পৌঁছেছেন। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত শঙ্করের বাড়িতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েছে সিবিআই।

Advertisement

গত ৫ জানুয়ারি শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সে দিনই রাতে শঙ্করকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলা হয়। শঙ্করকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বাধার সম্মুখীন হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। শঙ্করের অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখান। এমনকি, ইডির গাড়িতে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। যদিও সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের বাড়ির সামনে যে আক্রমণের মুখে ইডিকে পড়তে হয়েছিল, বনগাঁয় তা হয়নি।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এর আগেও সিবিআইয়ের দল শঙ্করের বাড়ির এলাকায় গিয়েছিল। তবে তখন তারা বাড়ির ভিতরে ঢোকেনি। সোমবার বাড়িতে ঢুকেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সে দিন রাতে কারা ছিলেন, ইডিকে কারা বাধা দিয়েছিলেন, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শঙ্করের স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য়ের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

Advertisement

এর আগে তারা সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতেও গিয়েছিল। সঙ্গে ছিল বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ফরেন্সিক দল। ইডির দু’জন আধিকারিকও সিবিআইয়ের সঙ্গে গিয়েছিলেন। শাহজাহানের বাড়ি, অফিস, বাজারে তল্লাশি চালানো হয়। ডুগরিপাড়া গ্রামে শাহজাহানের দুই ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও গিয়েছিল সিবিআই। একই ভাবে বনগাঁয় শঙ্করের বাড়ি থেকেও নমুনা, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।

শঙ্কর বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে রেশন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে দাবি করেছে ইডি। যদিও শঙ্কর নিজে সে সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।

গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। এমনকি, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়েছিল। সেই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া দু’টি এফআইআর এবং অনুরূপ ঘটনার প্রেক্ষিতে বনগাঁ থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরের তদন্ত করছে সিবিআই। ওই দিনের পর থেকে শাহজাহান ‘নিখোঁজ’ ছিলেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement