অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি, সিবিআই, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। বহাল রইল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ। ফাইল চিত্র।
কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। অর্থাৎ, এই মামলায় বহাল থাকল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পূর্ববর্তী নির্দেশ। একই সঙ্গে কুন্তল এবং অভিষেকের মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তাঁদের দু’জনকেই ২৫ লক্ষ টাকা করে মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিন্হা। জরিমানার টাকা অবিলম্বে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পূর্ববর্তী রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন অভিষেক। বুধবার তা খারিজ করে দিল হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিন্হা বলেন, “সিবিআই এবং ইডি তদন্ত চালিয়ে যাবে। আগামী ৯ জুন দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতে তদন্তে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।”
গত শুক্রবার কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেককে রক্ষাকবচ দেয়নি কলকাতা হাই কোর্ট। ওই দিন শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী হাই কোর্টের পুরনো নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান। একই সঙ্গে তৃণমূল নেতাকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী। এই সময়ের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা যাতে চরম পদক্ষেপ নিতে না পারেন, তার জন্যও আবেদন করেন অভিষেকের আইনজীবী। বিচারপতি অমৃতা সিন্হা এই প্রসঙ্গে বলেন, “আদালতের দরজা ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন খোলা থাকবে। প্রয়োজন মনে করলে যখন খুশি আসবেন। কিন্তু কোনও রক্ষাকবচ নয়।”
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরে যায় বিচারপতি সিন্হার এজলাসে। সেখানে অভিষেক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই পর্যবেক্ষণ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান। বিচারপতি সিংহ অভিষেককে মামলায় যুক্ত হতে বলেছিলেন। সেই অনুযায়ী, মামলাটিতে যুক্ত হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একই সঙ্গে তিনি মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদনও জানান।
কুন্তলের চিঠি মামলায় বিচারপতি সিন্হার পর্যবেক্ষণ ছিল, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। তা হলে তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের অসুবিধা কোথায়? অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এই মামলায় কী ভাবে তাঁর মক্কেলের নাম জড়াল, সেটাই পরিষ্কার নয়। অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী, তা-ও তাঁর জানা নেই বলে জানান তিনি। সেই বক্তব্য শুনে বিচারপতি অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করার কথা বলেছিলেন।