মধ্যমগ্রাম পুরসভায় সিবিআই হানা। —নিজস্ব চিত্র।
পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত সপ্তাহেই রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তিনি যে পুরসভার পুরপ্রধান পদে ছিলেন এক সময়ে, সেই মধ্যমগ্রাম পুরসভায় অভিযান চালাল সিবিআই। সোমবার বেলার দিকে পুরসভার অফিসে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সোমবার সকাল থেকেই তিন জেলার তিন জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। তার মধ্যে রয়েছে নদিয়ার রানাঘাটের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বা়ড়ি। এক সময়ে রানাঘাট পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা পার্থসারথি। এ ছাড়া সিবিআইয়ের আরও দু’টি দল গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়া। ডায়মন্ড হারবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র। সেই ডায়মন্ড হারবার পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান মীরা হালদারের বাড়িতে যায় সিবিআই। গোয়েন্দা সংস্থা গিয়েছে উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান অর্জুন সরকারের বাড়িতেও। এই তিন প্রাক্তন পুরপ্রধানের বাড়ি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলিতে হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। এর পরেই সিবিআই সূত্রে খবর মিলল, তাদের একটি দল মধ্যমগ্রাম পুরসভাতেও গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। পুরসভা চত্বর ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
গত বৃহস্পতিবারই খাদ্যমন্ত্রী রথীনের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। কাকভোরে মধ্যমগ্রামের মাইকেলনগরে রথীনের বাড়িতে হাজির হয়েছিল ১০ জন তদন্তকারী অফিসারের দল। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। মন্ত্রীকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাত পর্যন্ত। প্রায় ১৯ ঘণ্টা ধরে সেখানে তল্লাশি চলে। এ বার মধ্যমগ্রাম পুরসভায় সিবিআই হানা দিল। পুরসভা সূত্রে খবর, পুরপ্রধান নিমাই ঘোষের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই অভিযান নিয়ে মধ্যমগ্রাম শহর তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খাদ্যমন্ত্রী যা জানিয়েছেন, তা মিলিয়ে দেখতেই পুরসভায় এসেছে সিবিআই। তবে আজও শূন্য হাতেই ফিরতে হবে সিবিআইকে।’’