Subiresh Bhattacharya

সুবীরেশের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের মার্কশিটে নম্বর বদল! কোর্টে অভিযোগ সিবিআইয়ের

সোমবার সুবীরেশকে আরও কয়েক দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই কোর্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২২ ১৬:২৪
Share:

সুবীরেশ অসুস্থ জানিয়ে তাঁর জামিনের আর্জি আইনজীবীর। —ফাইল ছবি।

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের মার্কশিটের নম্বর অদলবদল করা হয়েছে। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে সোমবার এই অভিযোগ তুলে তাঁর বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। যদিও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। বয়স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা বিচার করে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। সেই জামিনের আর্জি খারিজ করে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুবীরেশকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল বিশেষ সিবিআই আদালত।

Advertisement

সোমবার সুবীরেশকে আরও কয়েক দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় সিবিআই। ওই আবেদনে বলা হয়, এসএসসি দুর্নীতি তদন্তে আরও কিছু তথ্য ও নথি তাদের হাতে এসেছে। তা নিয়ে আরও তদন্ত প্রয়োজন। সে সেব নথি আদালতে জমা করেছে সিবিআই। তাদের আশঙ্কা, সুবীরেশ জামিন পেলে ওই সব তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করা হতে পারে। এই গোটা ঘটনায় আরও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রেরও ইঙ্গিত দিয়েছে সিবিআই।

যদিও এই যুক্তি মানতে চাননি সুবীরেশের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায়। তিনি আদালতে পাল্টা যুক্তি দেন, যে তাঁর মক্কেল অসুস্থ। ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। এ সব বিচার করে জামিন দেওয়া হোক। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন, সুবীরেশ জেলের খাবার খেতে পারছেন না। ডায়েট চার্ট মেনে চলার অনুমতি দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’-এর অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন তিনি। আদালতের বাইরে সংবাদমাধ্যমকে তমাল বলেন, ‘‘ওরা (সিবিআই) দুটো কথা শিখেছে। ‘প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব’ আর ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’। এই দুটো কথা শুনেই আসছি সিবিআইয়ের থেকে।’’ প্রমাণ বিকৃতির অভিযোগও মানতে চাননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘১ জন হেফাজতে রয়েছেন। তিনি কী ভাবে প্রমাণ বিকৃত করবেন? বাইরে থাকলে করতে পারতেন হয়তো। ভিতরে বসে কী ভাবে কাউকে প্রভাবিত করবেন?’’ শেষ পর্যন্ত সুবীরেশের জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়।

Advertisement

গত ১৯ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় সুবীরেশকে। তাঁকে ৭ দিন হেফাজতে রেখেও জেরা করেনি সিবিআই। তা নিয়েই আদালতে সুবীরেশ এবং সিবিআইয়ের আইনজীবীদের দীর্ঘ তরজা হয়। এর পর সিবিআই সুবীরেশকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে চাইলেও সেই আর্জি খারিজ করে আলিপুর বিশেষ আদালত। তাদের নির্দেশে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় সুবীরেশকে।

কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই অভিযোগ করেছিল, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষায় বহু সাদা খাতা জমা দেওয়া হয়েছিল। কিছু খাতায় শুধুমাত্র ৫-৬টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পরেও পরীক্ষার্থী নম্বর পেয়েছেন ৫৩। গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি তেও একই জিনিস হয়েছে। সে সময় এসএসসির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন সুবীরেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement