ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসায় খুন-ধর্ষণ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তে নেমে সিবিআই আদালত অবমাননা করেছে বলে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ জানালেন এক অভিযুক্ত। অক্ষয়কুমার সামন্ত নামে হাওড়ার ওই বাসিন্দা আইনজীবী মারফত জানান, তাঁর বিরুদ্ধে খুন বা ধর্ষণের কোনও অভিযোগ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে যে-ধরনের অভিযোগ রয়েছে, রাজ্য পুলিশ তার তদন্ত করে চার্জশিট জমা দিয়েছে। তার পরেও সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
রাজ্যের নানা প্রান্তে সিবিআইয়ের বিভিন্ন দলের অভিযানের শুরু থেকেই তাদের বিরুদ্ধে আদালত-নির্দেশিত এক্তিয়ার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে। কলকাতা হাই কোর্ট ভোট-পরবর্তী হিংসার ক্ষেত্রে সিবিআই-কে শুধু ওই সময়পর্বে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তভার দিয়েছে। অশান্তির অন্যান্য ঘটনা সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করছে আদালতের নির্দেশে গঠিত রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। অক্ষয়বাবুর বক্তব্য, খুন বা ধর্ষণের মামলা না-থাকা সত্ত্বেও সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে এক্তিয়ার-বহির্ভূত কাজ করেছে এবং এটা আদালত অবমাননার শামিল।
হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানান, অক্ষয়বাবু আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করতেই পারেন। তবে ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় আপাতত কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না হাই কোর্ট।
বিজেপি কর্মী জাকির হোসেনকে খুনের ঘটনায় এ দিন বীরভূমের মল্লারপুর থানার কোট গ্রামে তল্লাশি চালায় সিবিআই। ভোর ৫টা নাগাদ তাদের তদন্তকারী দল বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গ্রামে পৌঁছে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে অভিযুক্তদের সন্ধানে ১৩ জনের বাড়িতে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে যায় অভিযুক্ত বাবলু শেখ ও জহির কাজিকে (দু’জনেই বর্তমানে জামিনে মুক্ত)। ফয়াজ কাজি নামে অন্য এক অভিযুক্ত মাঠ দিয়ে পালিয়ে যান। কেন্দ্রীয় বাহিনী তাড়া করেও তাঁকে ধরতে পারেনি। ফয়াজের ছেলে আলমগির কাজিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গিয়েছে সিবিআই।