আক্রান্ত সেই শিক্ষক।—ফাইল চিত্র।
এ বার খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হল কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের শিক্ষক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে নিগ্রহে ধৃত দু’জনের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার বিকেলে কলেজ গেটের সামনেই আক্রান্ত হন সুব্রতবাবু। জামার কলার ধরে তাঁর মুখে পর পর কয়েকটি ঘুষি মারা হয়। সেই ঘটনায় ধৃত সন্দীপ পাল এবং বিজয় সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশ এর আগে মারধরের ধারায় মামলা রুজু করেছিল। শুক্রবার তার সঙ্গে যোগ হল খুনের চেষ্টার ধারাও। ধৃতদের শুক্রবার শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক দু’জনকেই ৩০ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্তে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে মনে হয়েছে, যে ভাবে ওই শিক্ষককে মারধর করা হয়েছিল, তাতে তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। তাঁর মাথাতেও আঘাত করা হয়েছিল। সব দিক খতিয়ে দেখেই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির খুনের চেষ্টার মামলা (৩০৭) রুজু করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সুব্রতবাবুর মাথার যন্ত্রণা বাড়ে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি শনিবার মাথার ‘স্ক্যান’ করান। তাঁর উপরে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকেই কালো ব্যাজ পরে ক্লাস করাচ্ছেন ওই কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গত বুধবার কলেজে ছাত্রীদের দু’পক্ষের গোলমাল হয়েছিল। এক ছাত্রীকে চড় মারা হয়। প্রতিবাদ করেছিলেন শিক্ষক সুব্রতবাবু। সেই গোলমাল মিটেও গিয়েছিল। তার পরেও কলেজ থেকে বেরোতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েক জন ছুটে এসে সুব্রতবাবুকে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ।