জেনে নাও হসপিট্যালিটির জগতে কাজের সুযোগের কথা। ১২ সেপ্টেম্বর, ক্যাম্পাসটুকেরিয়ারে।
অক্সফোর্ড অ্যাডভান্সড লার্নারস’ ডিকশনারি অনুযায়ী হসপিট্যালিটি শব্দের সংজ্ঞা- কোনও সংস্থার তরফে অতিথিদের খাদ্য, পানীয় বা পরিষেবা দেওয়া। স্বভাবতই, শুধু হোটেল নয়, সে কাজের পরিধি আরও অনেক বিস্তৃত। খুচরো পণ্য থেকে স্বাস্থ্যপরিষেবা কিংবা নিজস্ব ব্যবসা- সব ক্ষেত্রেই তাই কেরিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে হসপিট্যালিটি-র পড়ুয়াদের।
এই সংক্রান্ত কেরিয়ার সম্পর্কে বিশদে জানতে যোগ দাও দ্য নিউ এরাঃ হসপিট্যালিটি বিয়ন্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট ওয়েবিনারে। তার জন্য সাইন আপ করতে হবে এখানে। এবিপি এডুকেশন আয়োজিত নিখরচার ওয়েবিনার সিরিজ ক্যাম্পাসটুকেরিয়ার ২০২০-তে থাকছে এই আলোচনাচক্র।
কখন: ১২ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৩টে।
কী নিয়ে: ব্যাঙ্ক, খুচরো পণ্য বিক্রি, হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে হসপিট্যালিটি কেরিয়ার গড়ার হদিস।
যা থাকছে: জেনে নাও হসপিট্যালিটি কোর্সে অর্জিত বিভিন্ন দক্ষতা কোন কোন শিল্পক্ষেত্রে কী ভাবে কাজে লাগবে। হসপিট্যালিটি কোর্স করার পরে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফুড অপারেশনস-এ কেরিয়ার গড়ার সুলুকসন্ধান। এই সমস্ত পেশার ভবিষ্যৎ এবং হসপিট্যালিটি কোর্সে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর হদিস। হসপিট্যালিটির দক্ষতার ভিত্তিতে নিজস্ব উদ্যোগের ভাবনার খুঁটিনাটি।
বক্তা যাঁরা:
সৌম্যব্রত মুখোপাধ্যায়, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক- ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট(আইএএম)-এর প্রাক্তনী এবং ইনস্টিটিউট অফ রুরাল ম্যানেজমেন্ট-এ ফ্যাকাল্টি অফ ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ। হসপিট্যালিটি এবং রিটেল ব্যাঙ্কিং-দুই শাখাতেই দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। ভ্রমণ তাঁর নেশা, ভালবাসেন অচেনা-অদেখা জায়গায় বেড়াতে যেতে।
সৈকত সরকার, সিইও, ফ্রেশ গ্রিনস প্রাইভেট লিমিটেড, এসার গ্রুপ- খাদ্য ও পানীয় বিশেষজ্ঞ, হোটেল, নিজস্ব ব্যবসা এবং খুচরো বিকিকিনিতে কাজের অভিজ্ঞতা ২৩ বছরের বেশি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, আইএএম কলকাতা এবং ইউকে-র কনফেডারেশন অফ ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিট্যালিটি-র প্রাক্তনী। কাজ করেছেন এফএমসিজি-সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি, মানোন্নয়ন, প্যাকেজিং, চ্যানেল অ্যাক্টিভেশন ও খুচরো বিক্রি ক্ষেত্রে। হসপিট্যালিটি কেরিয়ারের শুরু তাজ বেঙ্গলে, সেখান থেকে কেনিলওয়ার্থ, এইচএইচআই-সহ বিভিন্ন নামী হোটেলে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রেস্তোরাঁ মাল্টিপ্লেক্স সৌরভ’স, দ্য ফুড প্যাভিলিয়ন চালুর ক্ষেত্রেও পালন করেছেন কার্যকরী ভূমিকা। খুচরো বিক্রি ক্ষেত্রে তাঁর যাত্রা শুরু ২০০৭ সালে, আরপি-এসজি গ্রুপের স্পেন্সার্স রিটেল-এ। সেখান থেকে ২০১৫ সালে যান ফিউচার গ্রুপে।
রূপম দত্ত, জেনারেল ম্যানেজার, ফেদার্স- এ রাধা হোটেল, চেন্নাই- আইএএম কলকাতার প্রাক্তনী, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পেয়েছেন ম্যানেজমেন্ট, স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং লিডারশিপের পাঠ। হসপিট্যালিটির জগতে শেখা ও কাজের অভিজ্ঞতা ২৫ বছরের। দিল্লি ও চেন্নাইতে সরোবর হোটেলস-এর সঙ্গে যুক্ত থাকার পরে রাধা হোটেলস-এ যোগ দিয়ে বেঙ্গালুরুতে তাদের কর্পোরেট হোটেল রাধা রিজেন্ট শুরু করার দায়িত্ব পান। কাজ করেছেন রাধা রিজেন্ট-এর তিনটি শাখায়, যুক্ত ছিলেন এই গোষ্ঠীর প্রথম পাঁচতারা হোটেল উদ্বোধনের সঙ্গেও। দু’টি পুরোদস্তুর হোটেলের পাশাপাশি একাধিক পাব, রেস্তোরাঁ এবং দিল্লি স্টেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ও সরোবর হোটেলস গোষ্ঠীর যৌথ উদ্যোগে একটি সংস্কৃতি ও বিনোদন কেন্দ্র উদ্বোধনের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
মৈত্রেয়ী চৌধুরী, গ্রুপ ডিরেক্টর, আইএএম ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট- ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট (আইএএম)-এর প্রতিষ্ঠাতা-ডিরেক্টর। ৩০ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর, অনায়াস নেতৃত্ব এবং শিক্ষাব্রতীর মানসিকতায় পড়ুয়াদের সেরা মানের শিক্ষা দিতে তৎপর। প্রতিষ্ঠানের গোয়া ও গুয়াহাটি ক্যাম্পাস গড়ে তোলার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
ইন্দ্রাণী সান্যাল, জেনারেল ম্যানেজার (হাউসকিপিং)- হসপিট্যালিটি জগতে পেশাদার কাজের অভিজ্ঞতা ৩০ বছরের বেশি। আইএইচএমসিটিএএন কলকাতার এই প্রাক্তনীর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮৯-এ, তাজ বেঙ্গলে। সেখান থেকে পার্ক হোটেলে, ডিরেক্টর, হাউসকিপিং পদে। ২০০৮ সালে সরে যান ফেসিলিটি ম্যানেজমেন্টে, এনআইএস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার (সার্ভিসিং) হিসেবে যোগ দিয়ে। এর পর সুইসোটেলে, ডিরেক্টর (হাউসকিপিং) পদে, সামলেছেন তাদের নতুন পথ চলা এবং কোয়ালিটি মুভমেন্ট-এর দায়িত্ব। নোভোটেল আহমেদাবাদ, গ্র্যান্ড মারকিওর সূর্য প্যালেস বদোদরা, ফেয়ারমন্ট জয়পুর এবং পুলম্যান নোভোটেল এরোসিটি-তেও তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। ২০০৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে তাঁকে হাউসকিপার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
ডঃ সুবর্ণ বসু, প্রতিষ্ঠাতা সিইও, এডুগাই অ্যান্ড ইন্ডিস্মার্ট গ্রুপ- চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ইন্টারন্যাশনাল হসপিট্যালিটি কাউন্সিল, লন্ডন-এর সিইও এবং বিশ্বজুড়ে ইন্ডিস্মার্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও পরামর্শদাতা হিসেবে অভিজ্ঞতা ৩০ বছরের বেশি। হসপিট্যালিটি জগতের অন্যতম শিক্ষাবিদ-আইআইএইচএম এবং আইএএম হোটেল স্কুলস-এর মতো নামী সংস্থায় কাজ করেছেন কলকাতা, দিল্লি, গোয়া, ব্যাঙ্কক, বেঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ, জয়পুর, হায়দরাবাদ, পুনে, উজবেকিস্তান ও লন্ডনে। কলকাতা ও গোয়ায় ইন্ডিস্মার্ট গোষ্ঠীর দু’টি লাক্সারি হোটেলও রয়েছে। এডিনবরার নাপিয়ের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে সাম্মানিক ডক্টরেট এবং ওয়েস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট অফ সায়েন্স পেয়েছেন তিনি। ইয়ং শেফ অলিম্পিয়াড, আইআইএইচএম ইয়ং শেফ ইন্ডিয়া স্কুলস এবং আইআইএইচএম ইয়ং শেফ ইন্ডিয়া জুনিয়র প্রতিযোগিতার সূচনা ও প্রচলন তাঁরই হাতে।
উপস্থিতির শংসাপত্র: সম্পূর্ণ ওয়েবিনারটিতে উপস্থিতির ভিত্তিতে মিলবে এবিপি এডুকেশনের শংসাপত্র। দ্য নিউ এরা: হসপিট্যালিটি বিয়ন্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট ওয়েবিনারে রেজিস্টার করো এখানে।