প্রতীকী ছবি।
প্রয়াত হলেন শিশু হৃদ্রোগ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (৫০)। বুধবার সকালে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
সূত্রের খবর, মুকুন্দপুরের ওই হাসপাতালের সঙ্গেই দীর্ঘ দিন যুক্ত ছিলেন বিশ্বজিৎবাবু। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি সিরোসিস অব লিভার-সহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ক্রমশ সেই অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। তার মধ্যেই সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গত ৩০ ডিসেম্বর করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ছুটি পেয়ে বাড়িও ফিরে ছিলেন। তার পরে ফের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয় গড়িয়ার বাসিন্দা ওই চিকিৎসকের। গত ২ জানুয়ারি আবার বিশ্বজিৎবাবুকে মুকুন্দপুরের ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পরে এ দিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ১৯৮৬ ব্যাচের প্রাক্তনী বিশ্বজিৎবাবু। তাঁর ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ২০০৪-’০৫ সালে রাজ্যে শিশুদের হৃদরোগ চিকিৎসায় প্রথম অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন এই চিকিৎসক। কর্ডিয়োথোরাসিক সার্জন কুনাল সরকারের কথায়, ‘‘একটা সময় পর্যন্ত যখন শহরে শিশুদের হৃদরোগের চিকিৎসা অত্যন্ত নড়বড়ে ছিল, সেই সময় বিশ্বজিতের পরিশ্রম, ভূমিকার একটা বিরাট অবদান রয়েছে।’’