ডিএলএড প্রশিক্ষণরত কয়েক জন পড়ুয়া জানাচ্ছেন, ডিএলএড কলেজে অফলাইনে ভর্তি নিয়ে ডিসেম্বরে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা হয়। প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে হলে যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষা টেট দিতেই হবে। আবার টেটে বসতে হলে ডিএলএড প্রশিক্ষণ না-নিলেই নয়। কিন্তু ডিএলএড পার্ট ওয়ান পরীক্ষায় তাঁদের বসার পথ বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে বলে বিভিন্ন বেসরকারি ডিএলএড কলেজে অফলাইনে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ। ওই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে স্মারকলিপি দিচ্ছেন তাঁরা। একই আর্জি জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানান ওই পড়ুয়ারা।
পর্ষদ জানিয়েছে, ২০২১-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড কলেজে শুধু অনলাইনে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীরাই আগামী ৯ থেকে ১১ মার্চ ডিএলএডের পার্ট ওয়ান পরীক্ষায় বসতে পারবেন। যাঁরা অফলাইনে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের এখনও রেজিস্ট্রেশন হয়নি। এই সিদ্ধান্তের পরে অফলাইনে ভর্তি হওয়া কমবেশি ৪২ হাজার ডিএলএড পড়ুয়ার ওই পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাঁরা যখন ভর্তি হন, সেই সময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তখন অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও ভর্তি প্রক্রিয়া চালু ছিল।
ডিএলএড প্রশিক্ষণরত কয়েক জন পড়ুয়া জানাচ্ছেন, ডিএলএড কলেজে অফলাইনে ভর্তি নিয়ে ডিসেম্বরে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা হয়। যার শুনানি হয় জানুয়ারিতে। অভিযোগ, ১৩ মার্চ পরবর্তী শুনানির পরেই পরীক্ষার তারিখ ফেলতে পারত পর্ষদ। উল্টে তড়িঘড়ি করে তার আগেই পরীক্ষার তারিখ নির্দিষ্ট করে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে দেওয়া হয়েছে। পার্ট ওয়ান পরীক্ষার কয়েক মাস পরেই পার্ট টু বা ফাইনাল পরীক্ষা। পড়ুয়াদের প্রশ্ন, তাঁরা কি কোনও পরীক্ষাই দিতে পারবেন না? ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না-হলে টেট দিয়েও কোনও লাভ হবে না। পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার বলেন, “বিষয়টি বিচারাধীন। আদালত যা বলবে, সেই অনুযায়ী কাজ হবে।”