police

সরাসরি থানায় ফোন আসতে পারে ডিজি-র

অফিসারদের জানানো হয়েছে, ‘ডিজি কন্ট্রোল’ থেকে সরাসরি যে কোনও সময় ফোন করে ‘বিফ্রিং’ বা তথ্য জানা হবে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৫:৩৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

প্রতিটি জেলার আইসি, ওসি এবং ‘ওসি কন্ট্রোল’-কে আরও সক্রিয় হতে হবে। এ বার থেকে কোনও ঘটনা ঘটলে, ‘ডিজি কন্ট্রোল’ থেকে সরাসরি থানা বা থানার কন্ট্রোল রুমে ফোন আসবে। কোনও ঘটনা ঘটলে, তার যথাযথ তথ্য নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের তৈরি থাকতে হতে পারে। পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের ডিজি হিসাবে রাজীব কুমার দায়িত্ব নিয়েই প্রতিটি জেলা পুলিশের আইসি, ওসিদের এ ভাবে অতিরিক্ত সতর্ক ও সক্রিয় হওয়ার কথা বলেছেন। নজরদারি বাড়াতে নির্দেশও দিয়েছেন। শনিবার দুপুরের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি ওসি, আইসি-র কাছে ডিজি-র সে বার্তা পৌঁছেছে। বার্তা পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিটি থানার কন্ট্রোল রুম, জেলা পুলিশ ও কমিশনারেটগুলির কন্ট্রোল রুমগুলিকে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে। ডিজি-র দফতর থেকে জেলা পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনার ছাড়াও, পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের বিষয়টি আলাদা করে জানানো হয়েছে।

Advertisement

সূত্রের দাবি, অফিসারদের জানানো হয়েছে, ‘ডিজি কন্ট্রোল’ থেকে সরাসরি যে কোনও সময় ফোন করে ‘বিফ্রিং’ বা তথ্য জানা হবে। রাজ্য পুলিশের কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, নির্দেশিকায় ‘ডিজি কন্ট্রোল’-এর কথা থাকলেও, ঘটনার গুরুত্ব বুঝে
সরকারি থানা বা ফাঁড়িতে খোদ ডিজি-ও ফোন করতে পারেন, যা সচরাচর করা হয় না। রাজ্য পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রত্যেক অফিসারের কাজ করার নিজস্ব ধরন রয়েছে। রাজীব কুমার নিজের মতো কাজ শুরু করেছেন। লোকসভা ভোট আসন্ন। তাই ডিজি সবাইকে সতর্ক করেছেন। তিনি নিজেও জেলা স্তরে নজরদারি রাখতেই পারেন।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতিটি জেলার ঘটনার বিশদ তথ্য পুলিশের নিচু থেকে উপরতলা অবধি পাঠানোর পদ্ধতি রয়েছে। বর্তমান সামাজিক মাধ্যমের যুগে কিছু
ঘটলেই ওসি, আইসি-রা ঘটনার তথ্য, ছবি উপরওয়ালাকে সামাজিক মাধ্যমে জানান। জেলা পুলিশ স্তরে ওসি, আইসিদের থেকে তা ডিএসপি, এএসপি, এসপি এবং সেখান থেকে ডিআইজি, সংশ্লিষ্ট আইজি-র মাধ্যমে রাজ্য পুলিশের আইজি বা এডিজি-র (আইনশৃঙ্খলা) কাছে তথ্য যায়। কমিশনারেটে এসিপি, ডিসি থেকে সিপি হয়ে আইজি, এডিজিদের কাছে বার্তা যায়। এর বাইরে, আলাদা করে প্রতিটি থানা থেকে প্রতিদিন জেলার ঘটনার ছোট ছোট তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট (সিট-রেপ) তৈরি করে পরদিন উপর মহলে পাঠানো হয়। জেলা গোয়েন্দা দফতর এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চ আলাদা করে তা রাজ্য পুলিশের সিআইডির কাছেও ঘটনার তথ্য পাঠায়।

Advertisement

‘বড়’ ঘটনা ঘটলে, এডিজি-রা ফোনে নিচুতলা থেকে তথ্য পান। ডিজি তাঁদের কাছ থেকে তা জেনে নেন। আগে প্রয়োজনে, ‘ডিজি কন্ট্রোল’ জেলা পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনারদের ফোন করে তথ্য নিত। এ বার ডিজি’র দফতরের ফোন আসতে চলছে থানা পর্যায়েও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement