প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রের বিজেপি এবং রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস, দুই সরকারের ‘জন-বিরোধী’ নীতির বিরুদ্ধেই আন্দোলনের ডাক উঠে এল সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের রাজ্য সম্মেলনে। রাজ্যে গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার ডাক দিয়েছিল লিবারেশন। তাদের সেই অবস্থান ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল বাম রাজনীতিতে। কলকাতায় দলের দ্বাদশ রাজ্য সম্মেলনে তারা অবশ্য বলেছে, এক দিকে পেট্রল, ডিজ়েল, রান্নার গ্যাস-সহ জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক। মুদ্রাস্ফীতি গত ৮ বছরে সর্বোচ্চ স্তর ছুঁয়েছে। বুলডোজ়ার নীতি চালিয়ে সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে বিজেপির সরকার, চলছে বিভাজনের রাজনীতি। অন্য দিকে, এ রাজ্যেও গণতান্ত্রিক বিরোধিতাকে দমন করে ডেউচা-পাঁচামির মতো প্রকল্প করার কথা বলা হচ্ছে, নারী নির্যাতন ‘চরমে’ পৌঁছেছে, ছাত্র-নেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীরা এখনও ধরা পড়েনি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে, সরকারি শূন্য পদ পূরণও হচ্ছে না। এই সমস্ত প্রশ্নেই প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে সম্মেলনে। মৌলালি যুব কেন্দ্রে রবিবার সম্মেলনের শেষ দিনে লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন অভিজিৎ মজুমদারই। রাজ্য কমিটি হয়েছে ৬১ জনের, যার মধ্যে নতুন মুখ পাঁচ।