প্রতীকী ছবি।
ক্যানসারে আক্রান্ত শিক্ষিকা স্কুল থেকে দিন কয়েকের ছুটি নিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। খবর পেয়ে তাঁকে দেখতে লোক পাঠিয়েছিল স্কুল। কিন্তু মাসের শেষে তাঁকে অসুস্থতার ছুটি দেওয়া হল না। বদলে ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকার ১২ দিনের বেতন কেটে নিল স্কুল।
হুগলির এই ঘটনায় মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্ট ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়েছে। হাই কোর্টের বিচারপতি তাঁকে কোর্টে এসে জানাতে বলেছেন, কেন ওই শিক্ষিকাকে অসুস্থতার প্রাপ্য ছুটি দেওয়া হয়নি? কোন যুক্তিতে এক জন ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকার বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে!
হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ার মহাত্মা গান্ধী বিদ্যাপীঠের ওই শিক্ষিকার নাম সুনীতা শর্মা। তিনি ওই হাইস্কুলে ভূগোল পড়ান। আদালতকে সুনীতা জানিয়েছেন, ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি করাতে ভেলোরে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই তিনি কেমন আছেন জানতে তাঁর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে খবর নেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক জেলার স্কুল পরিদর্শককে চিঠি লিখে ওই শিক্ষিকার বেতন কেটে নিতে বলেন।
মামলাটি মঙ্গলবার উঠেছিল হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎগঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে।সেখানে শিক্ষিকার অভিযোগের পাল্টা জবাবে প্রধান শিক্ষকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে স্কুলে। উনি প্রায়শই স্কুলে দেরি করে আসেন বলেও অভিযোগ করেন আইনজীবী। আদালতকে জানান, ওই শিক্ষিকার যে ক্যানসার হয়েছে, তা জানতই না স্কুল। যদিও সেই যুক্তি শোনেনি আদালত। বদলে বিচারপতি অভিজিৎ মঙ্গলবার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, কোন যুক্তিতে একজন ক্যানসার আক্রান্ত মহিলার বেতন কেটে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা আদালতে এসে জানাতে হবে ওই প্রধান শিক্ষককে।