Calcutta High Court

টেট ২০১৪: ২০২০ সালে নিয়োগ কীভাবে? ইডি, সিবিআইকে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের

২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে নিয়ম মানা হয়েছিল কি না, তা দুই তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ ১৭:১২
Share:

২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০২০-তে কীভাবে নিয়োগ? যৌথ তদন্ত করবে ইডি এবং সিবিআই। ফাইল চিত্র।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে যৌথ তদন্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে নিয়ম মেনে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল কিনা, তা দুই তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আদালত জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাড হক (অস্থায়ী) কমিটির সদস্যদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। তবে ওই কমিটির সদস্য, ৮০ বছরের এক বৃদ্ধাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারবে না সিবিআই কিংবা ইডি।

Advertisement

আদালত এ-ও জানিয়েছে যে, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে কেন পর্ষদ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দিয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখবেন ইডি এবং সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। ২০১৪ সালে টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই সংস্থাকে। যাবতীয় তদন্ত শেষ করে ২০ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআই এবং ইডিকে। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানির ধার্য আছে আদালতের নির্দেশে সিবিআই এবং ইডি এ নিয়ে তদন্ত করলেও ইডির তদন্তে নজরদারি চালাবে না উচ্চ আদালত।

Advertisement

এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করেন। পুলিশ ভাল কাজ করলেও তাদের কাজে সরকারের প্রভাব রয়েছে বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২০২০ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ার তালিকা প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই তালিকায় একাধিক অসঙ্গতি আছে, এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন একাধিক চাকরিপ্রার্থী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement