শিক্ষিকা শান্তা মণ্ডলের বদলি মামলায় সিবিআই তদন্তের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রবি কিসান কপূর এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ (জলপাইগুড়ি সার্কিট) চার সপ্তাহের জন্য সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ শান্তার বদলি প্রক্রিয়ার আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
একইসঙ্গে শান্তার বদলি সংক্রান্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশকে বাতিল করে তাঁকে ৫ অগস্ট তাঁর পুরনো কর্মস্থল বীরপাড়া গার্লস হাই স্কুলে প্রধানশিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু শান্তা আদালত নির্ধারিত সময়ে সেই স্কুলে যোগদান করেননি। স্কুলের পরিচালন সমিতির জনৈক সদস্যকে হোয়াটসঅ্যাপ করে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান।
বদলি প্রক্রিয়ার আইনি বৈধতা নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন এই শিক্ষিকা। শান্তার এই আবেদনের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।
জলপাইগুড়ির বাসিন্দা শিক্ষিক শান্তা মণ্ডল শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। শান্তা ২০১৯-এ বীরপাড়া গার্লস হাই স্কুলে প্রধানশিক্ষিকা পদে নিয়োগপত্র পান। স্কুলে যোগ দেওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে শান্তা আবার বদলির জন্য রাজ্যের শিক্ষা দফতরে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে মধ্যশিক্ষা পর্যদ ২০২০-র ২২ ডিসেম্বর তাঁকে শিলিগুড়ির অমিয়গোপাল চৌধুরী স্মৃতি বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষিকা পদের নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু শান্তা ওই স্কুলে যোগ দেননি। তিনি আবার শিক্ষা দফতরে বদলির আবেদন জানান এবং আবারও তা মঞ্জুর হয়। তার পর বীরপাড়া থেকে শান্তা শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগপত্র পান।
এই বদলি প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলের সহকারী প্রধানশিক্ষক প্রসূনসুন্দর তরফদার। ৪ অগস্ট এই মামলায় শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলে শান্তার নিয়োগপত্র বাতিল করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৫ তারিখ সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে বীরপাড়া গার্লস হাই স্কুলে প্রধানশিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।