জয়প্রকাশ মজুমদার। ফাইল চিত্র।
অস্বস্তি বাড়ল বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের। তাঁর রক্ষাকবচের সময়সীমা বাড়াল না কলকাতা হাই কোর্ট। গত সপ্তাহেই আদালত তাঁকে সাত দিনের রক্ষাকবচ দিয়েছিল। মঙ্গলবার সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। জয়প্রকাশের মামলা বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে উঠেছিল। তখনই এ কথা জানিয়ে দেয় আদালত। তবে বুধবার এই মামলার কোনও শুনানি হয়নি। জয়প্রকাশের আইনজীবী অসুস্থ থাকায় মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। তাঁর আরেক আইনজীবী সৌম্যজিৎ দাস মহাপাত্র বলেন, ‘‘বিচারপতি মৌখিক ভাবে রাজ্যের কৌঁসুলিকে জানিয়েছেন পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না।’’
বেশ কয়েক দিন আগে অরূপরতন রায় নামে এক ব্যক্তি বিধাননগর উত্তর থানায় জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, বাগদায় ইন্ডিয়ান অয়েল গ্যাসের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা। তার জন্য মোটা অঙ্কের টাকাও জয়প্রকাশের বাড়িতে গিয়ে দিয়ে এসেছিলেন বলে অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন অরূপ।
এর পরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন জয়প্রকাশ। তাঁর আশঙ্কা ছিল, বিরোধী দলের নেতা হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসাতে পারে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর বাতিলের দাবি করেন আদালতের কাছে। তার পরই আদালত জানায়, সাত দিন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই রক্ষাকবচ মঙ্গলবার শেষ হয়ে যাওয়ায় তা আর না বাড়ানোয় অস্বস্তিতে পড়লেন জয়প্রকাশ।
এর আগেও জয়প্রকাশের বিরুদ্ধ বেশ কয়েকটি মামলা ছিল উত্তর বিধাননগর থানায়। বছরখানেক আগে কিছু টেট পরীক্ষার্থী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন এই বিজেপি নেতা। তার জন্য দু’দফায় অগ্রিম সাত লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন জয়প্রকাশ।