কলকাতা হাই কোর্ট।
কোনও জলাশয় বুজিয়ে ফেললেও ফের তা খনন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের আছে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই সঙ্গেই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, জলাশয়ের মধ্যে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলারও নির্দেশ দিতে পারে তারা। জলাভূমি ভরাটের মামলায় বুধবার এ ভাবেই রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হাই কোর্ট। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে একটি এক বিঘা আয়তনের জলাশয় বেআইনি ভাবে ভরাট করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতেই এই হুঁশিয়ারি।
এ দিনের শুনানিতে রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বহরমপুরের জলাশয়টি বোজানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাই সেটি ভরাট করা বেআইনি নয়। যদিও বহরমপুর পুরসভার আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, পুরসভার নথিপত্রে সেটি জলাশয় হিসেবেই চিহ্নিত রয়েছে। বোজানোর অভিযোগ পেয়ে পুরসভা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্যের কৌঁসুলি এ দিন আরও জানান, বহরমপুরের জলা বোজানোর অনুমতি দেওয়ার সময় ওই জলাশয়ের বদলে বিকল্প জলাশয় তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জলাশয় এবং পরিবেশের সম্পর্ক উল্লেখ করে জানান, বর্ধমানের জলাশয় বুজিয়ে যদি কলকাতায় জলা তৈরি করা হয়, তা হলে কি কোনও লাভ আছে?
হাই কোর্ট এ দিন জানিয়ে দিয়েছে, জলাশয় বোজানোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে হলফনামা পেশ করতে হবে। ফের শুনানি হবে ২১ ফেব্রুয়ারি।