গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।
শুধুমাত্র ভোটের বিষয়কেই কেন সামনে রাখা হচ্ছে। শিশুরা নানা সমস্যার সম্মুখীন। অথচ তা নিয়ে কেন সরব নয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের ক্ষোভের মুখে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।
বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার প্রভাব শিশুদের উপরও পড়েছে। অনেক শিশু অনাথ হয়েছে। বেড়েছে অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনাও। এক কথায়, নির্বাচন কমিশনের 'নিষ্ক্রিয়তা'র ফলেই শিশুদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হয়েছে বলে দাবি সুরক্ষা কমিশনের। ওই মর্মে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। বুধবার সেই মামলার শুনানি হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করেন বেঞ্চের বিচারপতিরা। প্রধান বিচারপতির যুক্তি, অনেক রাজ্যে নির্বাচন না থাকা সত্ত্বেও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই রাজ্যের শিশুরাও একই সমস্যার সম্মুখীন। এটাকে কি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে দেখা যায়?
এরপরই শিশু রক্ষা অধিকার কমিশনকে কাঠগড়ায় তোলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন,‘‘কমিশনের ওয়েবসাইট দেখে মনে হচ্ছে কমিশন অন্ধকারে রয়েছে। শিশুদের অনেক সমস্যার কথাই ওয়েবসাইটে নেই।’’ বিচারপতি বিন্দলের প্রশ্ন, ‘‘লকডাউনে অনেক পথশিশু নানা কারণে সমস্যায় রয়েছে। সেই বিষয় কেন ওয়েবসাইটে তথ্য দেওয়া হয়নি? কমিশন কি ঘুমোচ্ছিল?’’ হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি শিশু রক্ষা কমিশনের আইনজীবীরা। ২১ জুন, আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।