কলকাতা হাইকোর্টে স্থগিত মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোট।
ব্যালট ছাড়াই সাদা খাম পাঠিয়ে হুমকি-দাদাগিরির বিস্তর অভিযোগ উঠছিল। পরে মামলাও হয়। সেই মামলাতেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর আদালতে মামলা হয়েছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। এ দিনের শুনানিতে নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি। এ দিনের স্থগিতাদেশের ফলে রাজ্যের শাসক শিবির জোর ধাক্কা খেল বলে আইনজীবী শিবিরের পর্যবেক্ষণ।
স্বচ্ছ ভোটার তালিকার অভাব, ব্যালট পেপারহীন ফাঁকা খাম পাঠানো, ভোটদাতার সংখ্যা অনুযায়ী ব্যালট পেপার না-ছাপা ইত্যাদি অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন কয়েক জন শিক্ষক-চিকিৎসক। তাঁদের আইনজীবী কল্লোল বসু সওয়াল করেন, যথাযথ ভোটার তালিকা প্রকাশ করে তবেই নির্বাচন করা উচিত। নির্বাচন নিয়ে মেডিক্যাল কাউন্সিলে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে। খস়ড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ না-হওয়ায় চূড়ান্ত তালিকায় মৃত চিকিৎসকদের নামও রয়ে গিয়েছে বলে ওই আইনজীবীর অভিযোগ। এর আগের শুনানিতে কাউন্সিলের আইনজীবী শৈবালেন্দু ভৌমিক আদালতে জানান, যে-সব ত্রুটিবিচ্যুতি রয়েছে, সেগুলো কী করে শুধরে নেওয়া যায়, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি তাঁদের বক্তব্য জানাবেন।
কাউন্সিলের আইনজীবী এ দিন জানান, যে-সব মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যালট পেপার না-পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সেখানকার অধ্যক্ষের কাছে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবী অভিযোগ করেন, মালদহের একটি মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছিল ডাকযোগে। অধ্যক্ষকে না-জানিয়ে কেউ ডাকঘর থেকে তা তুলে নিয়ে গিয়েছেন।
‘‘নির্বাচনকে প্রহসনের জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল শাসক দল। তাই আদলতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি,’’ বলেন চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের সদস্য মানস গুমটা।