Nawsad Siddique

শুধু রাস্তা বন্ধ করার জন্য ৮৮ জন গ্রেফতার! নওশাদদের ধরপাকড়ে বিস্মিত কলকাতা হাই কোর্ট

গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীদের। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ বহু সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০৮
Share:

নওশাদদের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম থেকেই  প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন আইএসএফ সমর্থকেরা। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

রাস্তা বন্ধ করার অপরাধে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী-সহ ৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁরা এখনও পুলিশ হেফাজতেই রয়েছেন— জেনে বিস্মিত কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার নওশাদদের গ্রেফতারি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টের বেঞ্চ বলে, ‘‘একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে?’’

Advertisement

গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিক্ষোভের জেরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীদের। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ বহু সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর থেকে নওশাদ এবং আইএসফের ওই কর্মী সমর্থকেরা এখনও জেলেই রয়েছেন। সম্প্রতি ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদকেও ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ব্যাপারে হাই কোর্টে একটি মামলা রুজু হয়। বুধবার সেই মামলারই শুনানিতে ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি।

বুধবার আদালতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মহিলা-সহ ৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩২ দিনের বেশি সময় তাঁরা জেলে রয়েছেন।’’ মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে। আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে?’’ যদিও একই সঙ্গে নওশাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ প্রসঙ্গে বিচারপতি বাগচী বলেন, ‘‘নেতার সংযত থাকা উচিত। তাঁর নেতৃত্বে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয় সে দিকেও তাঁর নজর দেওয়া উচিত ছিল।’’

Advertisement

নওশাদদের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন আইএসএফ সমর্থকেরা। এই গ্রেফতারি নিয়ে সরব হয়েছিল বামেরাও। গ্রেফতারি প্রসঙ্গে নওশাদও বলেছিলেন, ‘‘যা চলছে, তা হেনস্থা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এই হেনস্থা করে নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএফকে বা বাংলার বঞ্চিত মানুষকে আটকাতে পারবে না।’’ এমনকি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আইএসএফের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

বুধবার নওশাদকে নিয়ে বিচারপতির মন্তব্যের জবাবে বিকাশরঞ্জন বলেন, ‘‘সেদিন আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। সেই উপলক্ষে কর্মসূচি নেওয়া হয়। তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেয়। প্ররোচনা দেয়। সেই কারণে ওই ঘটনাগুলি ঘটে।’’

আদালত সূত্রে খবর, নওশাদ-সহ সকলের মামলা এক সঙ্গে শুনানি হওয়ার কথা। আগামী ১ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement