কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষক পদে বেআইনি নিয়োগের নানা অভিযোগই উঠেছে। এ বার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন, এক বাংলাদেশি নাগরিকও ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আগামী ৪ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানিতে দক্ষিণ দিনাজপুরের ওই শিক্ষককে কোর্টে হাজির করাতে হবে পুলিশকে। এ ব্যাপারে সরাসরি দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। বিচারপতি জানিয়েছেন, আপাতত ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধ থাকবে। তিনি স্কুলেও ঢুকতে পারবেন না।
মামলাটি করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা বিমলচন্দ্র সরকার। তাঁর অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষক ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকেন। বিমলের জমি দখল করেই তিনি থাকছেন। এ দেশে নথি ভাঁড়িয়ে তিনি চাকরি পেয়েছেন বলেও বিমলের অভিযোগ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের স্কুল, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দফতর এবং এ দেশের স্কুলে তথ্য জানার অধিকার আইনে তিনি যে তথ্য পেয়েছেন তাও কোর্টে আইনজীবী মারফত জানিয়েছেন তিনি। ওই শিক্ষকের বাবাকে পুলিশ ‘বিদেশি নাগরিক’ আইনে গ্রেফতার করেছিল বলেও বিমল কোর্টে অভিযোগ করেছেন।