ছবি: সংগৃহীত।
শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে বুধবার রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা দিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে শুক্রবার এই মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী থাকাকালীন শুভেন্দু ‘জেড প্লাস’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন। রাজ্যের তরফে ওই নিরাপত্তা মিলত। কিন্তু মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেওয়ার আগেই তিনি সেই নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছিলেন। যদিও রাজ্য পুলিশ ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে তাঁর নিরাপত্তা বহাল রেখেছিল। এর পর গত ডিসেম্বরে বিজেপি-তে যোগ দেন শুভেন্দু। কেন্দ্রের তরফে তাঁর জন্য ‘জেড’ স্তরের নিরাপত্তা এবং বুলেটপ্রুফ গাড়ি বরাদ্দ করা হয়। এর পর শুভেন্দু বিরোধী দলনেতা হলে তাঁকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সেই মর্মেই হাই কোর্টে মামলা রুজু হয়।
বুধবার ওই মামলার শুনানিতে রাজ্যে কারা কারা সরকারি নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন, তা জানতে চেয়েছিল আদালত। আদালতের ওই নির্দেশ মতো, বৃহস্পতিবার মুখবন্ধ খামে শুভেন্দুর নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য। এবং রাজ্য যে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল সেই বিষয়টি তুলে ধরেন সরকারি আইনজীবী। তবে নন্দীগ্রামের বিধায়কের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা-ও মেনে নেয় রাজ্য। ফলে তাঁর নিরাপত্তায় গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে মনে করেন বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ।
উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘‘গণতন্ত্র মজবুত করতে গেলে বিরোধীদেরও শক্তিশালী রাখতে হবে। আপনারা উভয় পক্ষ যদি শক্তিশালী হন, তা হলে আমার রায়কেও শক্তিশালী হিসাবে মনে করা হবে। আবার কোনও পক্ষ দুর্বল, আর কোনও পক্ষ সবল হলে তার প্রতিফলন রায়ের উপর পড়বে বলেও মনে করা উচিত। তাই বিরোধী দলের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভাবা উচিত রাজ্যের।’’
বৃহস্পতিবার রাজ্যের রিপোর্ট জমা পড়লেও রায় ঘোষণা করেননি বিচারপতি। রায়দান শুক্রবার হতে পারে।