ফাইল চিত্র।
আদালতের নির্দেশ না মানায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারিকে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এসএসসি সূত্রের খবর, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উচ্চ প্রাথমিকের ১১ জন প্রার্থীকে তাঁদের নথিপত্র যাচাইয়ে (ভেরিফিকেশন) বসার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ ববি শরাফ। তার পরেও সেই সুযোগ না পাওয়ায় ওই প্রার্থীরা আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছেন। গত শুক্রবার মামলার শুনানিতে ওই নোটিস পাঠাতে নির্দেশ দেন বিচারপতি শরাফ।
মানসী পাল-সহ ১১ জন প্রার্থীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী মঙ্গলবার জানান, ২০১২ সালে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। পরীক্ষা হয় পরের বছর। কিন্তু নিয়োগ হয়নি। ২০১৫ সালে এসএসসি কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, যেহেতু নিয়োগ হয়নি তাই যাঁরা পরীক্ষায় (টেট) উত্তীর্ণ হয়েছেন ও যাঁদের বয়স ৪০ বছর পেরিয়েছে, তাঁরা পরবর্তী নিয়োগের সময় ‘ভেরিফিকেশন’-এ বসার সুযোগ পাবেন। ওই আইনজীবী জানান, ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এসএসসি কর্তৃপক্ষ ফের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, যে সব প্রার্থীর বয়স ৪০ পেরিয়েছে, তাঁরা ওই বছরের নিয়োগে ‘ভেরিফিকেশন’-এ বসার সুযোগ পাবেন না। যদিও মানসী-সহ ওই ১১ প্রার্থীর কাছ থেকে ‘ভেরিফিকেশন’-এ বসার জন্য ২৫০ টাকা নেন কর্তৃপক্ষ।
আইনজীবী জানান, ২০১৮-র ৮ জুন উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা প্রকাশ হয়। বয়স ৪০ পেরিয়ে যাওয়ায় সেই মেধা তালিকায় ওই ১১ প্রার্থীর নাম বাদ পড়ে। ওই বছরই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই প্রার্থীরা। আবেদনে তাঁরা জানান, এসএসসি কর্তৃপক্ষ ২০১৫ ও ২০১৬ সালে যে দু’টি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন, তা পরস্পর বিরোধী। কর্তৃপক্ষ ২০১৫-র বিজ্ঞপ্তি খারিজ করেননি। আশিসবাবু জানান, সেই কারণে বিচারপতি শরাফ ওই প্রার্থীদের ‘ভেরিফিকেশন’-এ বসার সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন।