১৪ অক্টোবর খড়্গপুর আইআইটি-র হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় অসমের বাসিন্দা ফাইজ়ান আহমেদের ঝুলন্ত দেহ। —ফাইল ছবি
খড়্গপুর আইআইটি-তে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাই কোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে আদালতে। সেই সঙ্গে খড়্গপুর সদর থানাকে কেস ডায়েরিও জমা দিতে বলেছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ।
বিচারপতির নির্দেশ, আগামী বৃহস্পতিবার এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার এবং পুলিশ সুপার কর্তৃক নিযুক্ত উচ্চ পদস্থ আধিকারিককে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে। ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত কতটা এগোল, তার রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে।
গত ১৪ অক্টোবর খড়্গপুর আইআইটি-র হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় অসমের বাসিন্দা ফাইজ়ান আহমেদের ঝুলন্ত দেহ। তিনি বিটেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় বর্ষে পাঠরত ছিলেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় সিআইডি কিংবা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন মৃতের বাবা সেলিম আহমেদ। তিনি সেই আর্জি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে তাঁর মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল।
আদালতের নির্দেশ, এই মামলায় অবিলম্বে ভিসেরা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। মৃত ছাত্রের সঙ্গে শেষ যে ব্যক্তির ফোনে কথা হয়েছিল, তাঁকে খুঁজে বার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া বলা হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সকলের সাক্ষ্য এবং গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী, খড়্গপুর আইআইটি-তে র্যাগিং ঠেকানোর পরিকাঠামো রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে বলেছে আদালত।
আদালতের নির্দেশ, প্রতিষ্ঠানের হস্টেলে যথাযথ সিসিটিভি রয়েছে কি না, পুলিশকে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এ বিষয়ে পুলিশের তদন্তে সব রকম সাহায্য করবে খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ।