SSC Recruitment Scam

মেধাতালিকায় দ্বিতীয়, তবু চাকরি পাননি! এসএসসির ২০২০ সালের নিয়োগেও বিতর্ক, জবাব তলব কোর্টের

২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন রানি সোনা। কিন্তু তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এসএসসির কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৪ ১৯:৪০
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

২০১৬ সালের পর এ বার ২০২০ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন উঠল। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বছরের এক চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগ, মেধাতালিকায় দ্বিতীয় হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে এসএসসির কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাই কোর্ট।

Advertisement

বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি হয়। মামলাকারীর নাম রানি সোনা। ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অং‌শ নিয়েছিলেন তিনি। সাঁওতালি মিডিয়াম স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষকের পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন বলে আদালতে জানিয়েছেন। মামলাকারীর দাবি, এসএসসি যে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল, তাতে তাঁর নাম দ্বিতীয়তে ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বসু। তাঁর নির্দেশ, দু’সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে এসএসসিকে রিপোর্ট দিতে হবে। কেন মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সত্ত্বেও ওই মহিলাকে চাকরি দেওয়া হল না, তা আদালতে জানাতে হবে কমিশনকে।

মামলাকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী আদালতে সওয়াল চলাকালীন জানান, তাঁর মক্কেল এসএসসির ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত মেধাতালিকায় দ্বিতীয় হন। কিন্তু তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়নি। নিয়োগ চেয়ে আবেদন করা হলেও এসএসসির তরফে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। এর পরেই বিচারপতি বসু জানতে চান, মেধাতালিকার দ্বিতীয় প্রার্থী যদি চাকরির সুপারিশপত্র না পেয়ে থাকেন, তবে সেই পত্র কাকে দেওয়া হল? কারা নিয়োগের সুপারিশ পেলেন? আদালত এসএসসির কাছ থেকে জবাব তলব করেছে। দু’সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে এসএসসির বক্তব্য আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে এসএসসিতে নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র মামলায় ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। চাকরি গিয়েছে ২৫,৭৫৩ জনের। আদালত জানিয়েছে, যাঁরা প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে। ১২ শতাংশ সুদ-সহ টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। সিবিআইকে এই সংক্রান্ত তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেছে আদালত। এমনকি, রাজ্যের মন্ত্রিসভার সুপারিশে মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। রাজ্য সরকার এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। শীর্ষ আদালত মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিলেও চাকরি বাতিলের রায়ে এখনও কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। আগামী সোমাবর সুপ্রিম কোর্টে আবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। তার মাঝেই এ বার ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও প্রশ্ন উঠে গেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement