শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় নিজের পর্যবেক্ষণ জানাল হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালির নির্দিষ্ট কোন জায়গায় যেতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিকেল ৩টের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি কৌশিক চন্দের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, যে সব এলাকা থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে, সেখানে যেতে পারেন শুভেন্দু।
১৪৪ ধারাকে সামনে রেখে সন্দেশখালিত প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। সিপিএমের একটি মামলার প্রেক্ষিতে সন্দেশখালি থেকে ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ খারিজের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তার পর সন্দেশখালির পাঁচ জায়গা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে প্রশাসন। শুভেন্দুর অভিযোগ, তার পরেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগ জানিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। বিচারপতি চন্দ সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। তার শুনানিতেই সোমবার বিচারপতির পর্যবেক্ষণ যে সব এলাকা থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে, সেখানে যেতে পারেন শুভেন্দু।
সন্দেশখালিতে যেতে গিয়ে গত সোমবার বাধার মুখে পড়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে ঢুকতে চেয়ে তার পরই প্রথম বার হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার শুভেন্দুর আবেদনের নিষ্পত্তি করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সিপিএমের করা মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এ ক্ষেত্রে পুরো এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারির জন্য নির্দিষ্ট করে উপদ্রুত জায়গা চিহ্নিত করা হয়নি। তাই ১৪৪ ধারা খারিজ করে হাই কোর্ট। আলাদা করে আর শুভেন্দুর আবেদন শোনার দরকার পড়েনি। তার পরেও বাধার মুখে পড়ে আবার দ্বিতীয় আবেদন করেন শুভেন্দু।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে আবার উত্তপ্ত হয় সন্দেশখালি। সামনের সারিতে ছিলেন মহিলারা। তৃণমূল নেতা শাহাজাহন শেখ, শিবু হাজরাদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। মহিলাদের একাংশ অভিযোগ করেন, তাঁরা হেনস্থার শিকার হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। সেই কারণ দেখিয়ে গত সোমবারে পর গত বৃহস্পতিবারও শুভেন্দুকে সন্দেশখালি যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তার পরেই মামলা দায়ের। তাতেই হাই কোর্ট সোমবার নিজের পর্যবেক্ষণের কথা জানাল।