পুরভোট নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় রায় স্থগিত রাখল কলকাতা হাই কোর্ট।
পুরভোট নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাই কোর্টে। কিন্তু শুক্রবার রায় স্থগিত রাখল আদালত।
শুক্রবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হল।
রাজ্যে সব পুরসভায় এক সঙ্গে ভোট করার দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। সেই সঙ্গে তাদের দাবি ছিল, কলকাতা-সহ রাজ্যের পুরভোটে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট রাখতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।
এই বিষয়টি আদালতে উঠতে কমিশনের তরফে জানানো হয়, তাদের কাছে যে এম১ ও এম২ ইভিএম রয়েছে, তাতে ভিভিপ্যাটের সুবিধা নেই। ভিভিপ্যাটের সুবিধা রয়েছে এম৩ ইভিএমে, যা শুধু লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে ব্যবহার করা হয়। প্রায় সব রাজ্যেই পুরভোটের মতো সব স্থানীয় নির্বাচনে এম১ ও এম২ ইভিএম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে আদালতের প্রশ্ন ছি, সব পুরসভায় একত্রে ভোট কেন হচ্ছে না? তার জবাবে কমিশন জানায়, ইভিএমে ঘাটতি রয়েছে। এর পরেই আদালতের প্রশ্ন, তা হলে কেন অন্য রাজ্য থেকে ইভিএম নিয়ে আসা হল না? এর জবাবে কমিশনের আইনজীবী জানান, সেই চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু অরুণাচলপ্রদেশ ছাড়া অন্য কোনও রাজ্য থেকে এখন ইভিএম পাওয়া।
এখানেই বিজেপি-র আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের হাতে ১৫ হাজারের বেশি ইভিএম রয়েছে। কলকাতা পুরসভায় যদি সাত হাজার ইভিএম ব্যবহার করা হয়, তা হলে বাকি ইভিএমগুলি দিয়ে কেন অন্য পুরসভার ভোট করানো হল না?’’
এর পরই বিচারপতিরা রাজ্যের কাছে জানতে চান, ঠিক কবে, কয় দফায় রাজ্যে বকেয়া পুরভোট করা সম্ভব? এবং কত দিনের মধ্যে তা আদালতে জানাতে পারবে রাজ্য? উত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, আগামী ১৯ ডিসেম্বরের পর এ বিষয়ে আদালতকে জানাতে পারবে রাজ্য।