নওশাদ সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।
ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে পারবেন না আইএসএফ। শুক্রবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গেল বেঞ্চ এর আগে আইএসএফকে শর্তসাপেক্ষে সভা করার অনুমতি দিয়েছিল। তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে শুক্রবার।
প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাস্তা আটকে সভা করতে পারবে না আইএসএফ। তারা কোনও ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করতে পারবে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম বা ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে নওশাদ সিদ্দিকির দল কর্মসূচির আয়োজন করতে পারবে।
আইএসএফের সভা নিয়ে এর আগে সিঙ্গেল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, গত বছর রানি রাসমণি রোডে আইএসএফকে কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অশান্তির অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। গত বছরের ঘটনা থেকে নওশাদের দল কী শিক্ষা নিয়েছে, হলফনামার আকারে আদালতে তা জানাতে বলা হয়।
শুক্রবার আইএসএফের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘আপনার মক্কেল জামিনে রয়েছেন। ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তার পরেও এ বছর সভায় কিছু হবে না, আদালত তা বিশ্বাস করে না।’’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা দিবস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা আমরা জানি। কিন্তু অন্যত্র কর্মসূচি করুন। রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি নয়। অ্যাম্বুল্যান্স সভার কারণে আটকে থেকে কোনও রোগীর মৃত্যুর হলে তার জন্য আপনারা দায়ী থাকবেন।’’
ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করতে পারলেও সিঙ্গেল বেঞ্চ যা শর্ত দিয়েছিল, তা আইএসএফকে মেনে চলতে হবে বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চ।
২১ জানুয়ারি শহরে ম্যারাথন রয়েছে। ম্যারাথনকে আইএসএফের সভার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। বলেন, ‘‘গত বার অশান্তি হয়েছিল, এটা স্পষ্ট। তা সভার আগে না পরে হয়েছিল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওই দিন শহরে ম্যারাথন রয়েছে। ম্যারাথন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনাদের ওই সভার থেকে।’’
আইএসএফকে চার জনের নাম আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। তাদের সভাকে কেন্দ্র করে কোনও অশান্তি হলে তার জন্য দায়ী থাকতে হবে ওই চার জনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে আদালত।