প্রতীকী ছবি।
কয়লা মামলায় সিবিআইয়ের এক্তিয়ার বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। এ দিন দিল্লি থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে শুনানিতে যোগ দেন তুষার। তাঁর বক্তব্য, এই মামলায় কয়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার মামলায় আবেদনকারী চুপ। অথচ তাঁর হয়ে সওয়াল করছে রাজ্য সরকার!
সিবিআইয়ের অভিযোগ, ২০২০ সালের মে মাসে রেলের লিজ হোল্ড জায়গায় বেআইনি খনি থেকে কয়লা উত্তোলন হয়েছে। এই তথ্য নাকি তাদের তদন্তে উঠে এসেছে। এই ঘটনায় একাধিক রেলের আধিকারিক জড়িত বলেও দাবি সিবিআইয়ের। তদন্তকারীদের আরও অভিযোগ, এক শ্রেণির প্রভাবশালীর সঙ্গে যোগসাজশ করে লালা-সহ কয়েক জন দেশের সম্পত্তি নষ্ট করেছেন। এ দিন সিবিআই আদালতে জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের মামলার এই রায়ের অনেক প্রভাব রয়েছে। তবে সিবিআইয়ের সম্পূর্ণ অধিকার আছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে যে কোনও ঘটনার তদন্ত করার। এ রাজ্যের বাইরেও চক্রান্তের জাল ছড়িয়ে আছে।
সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, সিবিআই রেল এলাকার বাইরে রাজ্যের অন্যত্র কোথাও তদন্ত করতে গেলে তাদের রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন। কেবলমাত্র রাজ্যের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালানো যাবে। মঙ্গলবার সলিসিটর জেনারেল অভিযোগ করেন, বিধি অনুযায়ী রাজ্যের সঙ্গে যৌথ তল্লাশি হতেই পারে না। সিঙ্গল বেঞ্চ একদিকে সিবিআই এর এক্তিয়ার বেঁধে দিচ্ছেন আবার অন্য দিকে রাজ্যের সঙ্গে যৌথ তল্লাশি করতে বলছে!
রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত এ দিন আদালতে বলেন, ‘‘কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়া সিবিআই রাজ্যের এলাকায় তদন্ত করতে পারে না। ইসিএল এলাকাতেও সিবিআই তদন্ত করতে পারবে না।’’ তাঁর বক্তব্য, অপরাধীরা রেলকে শুধু যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তাই রেলের এলাকায় অপরাধ সংগঠিত হয়েছে এটা বলা যাবে না। আরপিএফ আইন অনুযায়ী, রেলের এলাকায় কিছু হলে আরপিএফ তদন্ত করে রাজ্যকে দেবে।
আদালত সূত্রের খবর, বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এ দিন জানিয়েছেন, রেলের এলাকায় যে হেতু রাজ্য তদন্ত করতে পারে না, তাই একটি পৃথক তদন্তকারী সংস্থার দরকার। আজ, বুধবার ফের মামলাটির শুনানি রয়েছে। এ দিকে মঙ্গলবারেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লালা আলাদা আর একটি পৃথক মামলা করেছেন।